পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
রোহিত শর্মা থেকে বিরাট কোহলি, এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়। পারথ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কোহলি প্রত্যাশার যে ফানুস উড়িয়েছিলেন, তা চুপসে যেতে বেশি সময় লাগেনি। পাঁচ টেস্টে সর্বসাকুল্যে তাঁর সংগ্রহ ১৯০। তার চেয়েও খারাপ রোহিতের পারফরম্যান্স। তিন টেস্টে মাত্র ৩১ রান করেই তাঁকে দেশে ফিরতে হয়েছে। অফ ফর্মের কারণে সিডনিতে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে নিজে থেকেই সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন হিটম্যান। তাতে অবশ্য লাভ কিছুই হয়নি। যশস্বী জয়সওয়াল এবং কিঞ্চিত নীতীশ রেড্ডি ও ঋষভ পন্থ ছাড়া গোটা অস্ট্রেলিয়া সফরেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খতিয়ান বড়ই হতাশাজনক। বিরাট কোহলির মতো মহাতারকা বার বার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন। ভুল শুধরে নেওয়ার তাগিদ দেখা যায়নি। এমনকী, দলের সাপোর্ট স্টাফদের পক্ষ থেকেও বিশেষ উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তাই হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে পড়তে হয়েছিল প্রবল সমালোচনার মুখে। প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্ট স্টাফদের বিরুদ্ধে। চরম বিপর্যয়ের পর একটা ঝাঁকুনি দরকার ছিল। দেরিতে হলেও সেটা দেখা গেল বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে। অভিষেক নায়ারের ক্ষমতা খর্ব করার মধ্যে এই বার্তাও স্পষ্ট যে, দল খারাপ খেললে শুধু ক্রিকেটার নয়, দায় বর্তাবে সাপোর্ট স্টাফদের উপরও।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, রোহিত-কোহলির মতো মহাতারকাদের টেকনিকের ত্রুটি কি সীতাংশুর পক্ষে শুধরে দেওয়া সম্ভব? তাছাড়া কতটাই বা তাঁর পরামর্শ কানে তুলবেন তারকা ক্রিকেটাররা? অনেকে বলছেন, সীতাংশুকে ভারতীয় দলের অস্থায়ী ব্যাটিং কোচ করার ক্ষেত্রেও বোর্ড রাজনীতির অঙ্ক রয়েছে।
আসলে ‘ঝি-কে মেরে বউকে শেখানো’র পথ নিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। লক্ষ্য আসলে হেড কোচ গম্ভীর। তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, সাফল্য না পেলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।
পাশাপাশি দলের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের জন্য দশ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে বিসিসিআই। তাতে জোর দেওয়া হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলারক্ষার বিষয়ে। একই সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাধ্যতামূলক খেলার উপর।