পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
(গাভি, কৌন্দে, রাফিনহা, তোরেস, ইয়ামাল) (রোকি)
বার্সেলোনা: কয়েক বছর আগেও বার্সেলোনার আপফ্রন্টের প্রধান ভরসা ছিলেন লায়োনেল মেসি। আর্জেন্তাইন মহাতারকার উপস্থিতি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিত। তিনি দল ছাড়ার পর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল বার্সার আপফ্রন্ট। তবে চলতি মরশুমে সেই অভাব অনেকটাই ঢেকে দিয়েছেন লামিনে ইয়ামাল। তরুণ এই স্প্যানিশ উইঙ্গার প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করেই স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সেলোনা। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দেয় হান্স ফ্লিকের ছেলেরা। আর এবার কোপা ডেল রে’র আসরে ফের একবার জ্বলে উঠলেন ইয়ামাল। তা দেখে অনেকেই মেসির সঙ্গে তাঁর তুলনা শুরু করেছেন। বুধবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রিয়াল বেতিসকে ৫-১ গোলে দুরমুশ করল বার্সেলোনা। গোল করে ও করিয়ে নায়ক ১৭ বছরের তরুণ স্প্যানিশ। বার্সার বাকি চার গোলদাতা যথাক্রমে গাভি, জুলস কৌন্দে, রাফিনহা ও ফেরান তোরেস। ম্যাচের শেষলগ্নে পেনাল্টি থেকে বেতিসের হয়ে ব্যবধান কমান ভিক্টর রোকি।
টানা ম্যাচের ক্লান্তি কাটাতে বুধবার রবার্ট লিওয়ানডস্কিকে বাইরে রেখেই দল সাজান বার্সা কোচ ফ্লিক। ‘ফলস নাইন’ পজিশনে ড্যানি ওলমোকে ব্যবহার করেন তিনি। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় বার্সা। তিন মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন গাভি (১-০)। ২০ মিনিটে ওলমোর শট পোস্টে লাগে। তবে ২৭ মিনিটে বক্সের কোনাকুনি জায়গা থেকে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান কৌন্দে (২-০)। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে ফের একবার একই ভাবে গোল করেন ফরাসি উইং ব্যাক। তবে এবার অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। ৫৭ মিনিটে বল জালে জড়ান ইয়ামাল। তবে এবারও অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। অবশ্য পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান রাফিনহা (৩-০)। ৬৭ মিনিটে ৪-০ করেন ফেরান তোরেস। আর ৭৫ মিনিটে রিয়াল বেতিসের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ইয়ামাল (৫-০)। আর ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদে বেতিসের হয়ে ব্যবধান কমান রোকি (৫-১)।