অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
আর তাতেই শিলমোহর পড়ল কিছুক্ষণের মধ্যে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার পাশে তিনি এসে বসতেই ফিসফাস শুরু। তবে কি জল্পনাই সত্যি হতে চলেছে? হলও তাই। অশ্বিন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, বুধবারই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর শেষ দিন। ভারতীয় ক্রিকেটে যা ঘোষণা করল এক যুগান্তের। অ্যাশের অবসর তো আর নিছক চলে যাওয়া নয়, বরং এদেশের সর্বকালের সেরার তালিকায় থাকা একজনের প্রাক্তনের কক্ষপথে ঢুকে পড়া।
২০১৪ সালে এভাবেই ডনের দেশে আচমকা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তৃতীয় টেস্টের পর হঠাৎই জানিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্ত। অশ্বিনও সেই পথে হাঁটলেন। সিরিজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না। দুম করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ‘টা-টা’ জানিয়ে বৃহস্পতিবারই দেশে ফিরছেন। বিদায়বেলায় ড্রেসিং-রুমে সতীর্থদের সঙ্গে আবেগঘন কিছু মুহূর্ত জন্ম নিল। কেক কাটলেন তিনি। তা খাইয়ে দিলেন রোহিত। স্যালুট করলেন সিরাজ। জার্সি দিলেন নাথান লিয়ঁ। হাত মেলালেন প্যাট কামিন্স। টুকরো টুকরো কিছু ফ্রেম। সংক্ষিপ্ত কয়েকটা সংলাপ। কিন্তু তা ব্যাপ্তিতে হয়ে উঠল অপরিসীম। আর তো কখনও এভাবে অশ্বিনকে দেখা যাবে না সতীর্থদের সঙ্গে।
কিন্তু কেন এই চকিত সিদ্ধান্ত? অশ্বিন ব্যাখ্যায় যাননি। শুধু বললেন, ‘প্রত্যেককেই অবসর নিতে হয়। আমার ক্ষেত্রে বুধবারই সেই দিন। প্রচুর মজা করেছি, সতীর্থদের সঙ্গে অজস্র স্মৃতি রয়েছে। আর এখনও কিছু ক্রিকেট অবশিষ্ট রয়েছে। তবে তা ক্লাব পর্যায়ের জন্যই।’ রোহিত শোনালেন, ‘কিছু সিদ্ধান্ত একেবারেই ব্যক্তিগত। অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাকে সম্মান জানাতেই হয়। ও দেশের সেরা ম্যাচ-উইনারদের অন্যতম। তবে আমি পারথে পৌঁছনোর পরই ওর মনোভাবের কথা শুনি। গোলাপি টেস্টে খেলতে রাজিও করাই। কিন্তু টিম কম্বিনেশন সম্পর্কে ম্যানেজমেন্টের ভাবনাচিন্তা অ্যাশ বুঝেছে। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছনোর সময় আমরা যেমন নিশ্চিত ছিলাম না যে, স্পিনার হিসেবে কাকে খেলানো হবে। অশ্বিন আমাদের বলে, ওকে যদি এই সিরিজে আর ব্যবহার করা না হয় তাহলে ক্রিকেটকে গুডবাই জানানোই ভালো।’ উল্লেখ্য, ভারতের পরের টেস্ট সিরিজ ইংল্যান্ডে। সেখানে পাঁচ টেস্টের সিরিজে একমাত্র স্পিনার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা যে কম, তা উপলব্ধি করতে অসুবিধা হয়নি অশ্বিনের। ঘরের মাঠে ফের ভারত যখন টেস্ট খেলবে তখন চেন্নাইয়ের অফ স্পিনারের বয়স হবে ৩৯। ততদিন পর্যন্ত আর অবসরকে ঝুলিয়ে রাখতে চাননি অ্যাশ। বরং আচমকা ‘ক্যারম’ ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন ক্রিকেট মহলকেই!