অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
সাউল-জিকসনদের অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠে ভারসাম্য বজায় রাখতে আনোয়ার আলিকে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে ব্যবহার করেন অস্কার। পাশাপাশি ডেভিডকে প্রথম একাদশে রাখেন তিনি। নবম মিনিটে ক্লেটনের ফ্রি-কিক থেকে ডেভিড জাল কাঁপালেও, অফ-সাইডের কারণে তা বাতিল হয়। এরপর ম্যাচে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসে পাঞ্জাব। ২৪ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন আসমির সুলিচ। ভিদালের সেন্টার থেকে রাকিপকে টপকে জাল কাঁপান এই হাঙ্গেরিয়ান স্ট্রাইকার (১-০)। ৩৪ মিনিটে দলের নিশ্চিত পতন আটকান প্রভসুখন। তবে মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল হজম করে ইস্ট বেঙ্গল। এক্ষেত্রে আনোয়ারকে কাটিয়ে দুরন্ত শটে জাল কাঁপান ভিদাল (২-০)।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিষ্ণুকে মাঠে নামান অস্কার। এই পরিবর্তনটাই ম্যচের রং বদলে দেয়। ৪৭ মিনিটে ক্লেটনের সেন্টার থেকে হেডে ব্যবধান কমান হিজাজি (২-১)। ৫৫ মিনিটে সমতায় ফেরে ইস্ট বেঙ্গল। রাকিপের সেন্টার থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার হেড পৌঁছয় বিষ্ণুর কাছে। অরক্ষিত জায়গা থেকে এই তরুণ উইঙ্গারের শট প্রতিপক্ষ ফুটবলারের পায়ে লেগে জালে জড়ায় (২-২)।
দল সমতায় ফিরতেই গর্জে ওঠে গ্যালারি। ৬০ মিনিটে ইস্ট বেঙ্গল লিড নিতেই তা রূপ নেয় শব্দব্রহ্মে। নন্দর গোলমুখি শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়ান সুরেশ মিতেই (৩-২)। মিনিট চারেক বাদেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাঞ্জাবের খাইমিনথাং। আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ডেভিড। বিষ্ণুর সেন্টার থেকে ড্রপ হেডে বল জালে জড়ান এই মিজো স্ট্রাইকার (৪-২)। অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনিই ম্যাচের সেরা হয়েছেন।
ইস্ট বেঙ্গল: প্রভসুখন, রাকিপ, হিজাজি, হেক্টর, নুঙ্গা, মহেশ (বিষ্ণু),আনোয়ার, শৌভিক, নন্দ (নিশু), ক্লেটন (সায়ন) ও ডেভিড (আমন)।
ইস্ট বেঙ্গল- ৪ : পাঞ্জাব এফসি- ২
(হিজাজি, বিষ্ণু, মিতেই-আত্মঘাতী, ডেভিড) (আসমির, ভিদাল)