মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
(টাই-ব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী আর্জেন্তিনা)
লস অ্যাঞ্জেলস: গোলপোস্টের নীচে রয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তাই টাই-ব্রেকারে ম্যাচ গড়ালেও তেমন টেনশনে ছিলেন না আর্জেন্তিনা সমর্থকরা। ২০২১ কোপা আমেরিকা থেকেই আস্থার মর্যাদা রেখে চলেছেন এমি। এদিনও ভুল হয়নি তাঁর। মার্তিনেজের দস্তানায় ভর করেই ইকুয়েডরকে বশ মানিয়ে সেমি-ফাইনালে জায়গা পাকা করলেন লায়োনেল মেসিরা।
শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। কোপা আমেরিকায় ফাইনাল ছাড়া অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ নেই। অগত্যা ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। কিন্তু শুরুতেই মেসির পানেনকা শট ক্রসবারে ধাক্কা খায়। এই পর্বে উঁকি মারছিল ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালের স্মৃতি। কিন্তু এমির বীরগাথায় ঢাকল মেসির পেনাল্টি মিস। পরপর তাঁর দু’টি সেভই হাসি ফোটালো নীল-সাদা সমর্থকদের মুখে। শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে জিতল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ শেষে মার্তিনেজকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসায় ভরালেন মেসি। হয়তো বলছিলেন, ‘জানতাম! তুমি পারবে।’
ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে এদিন মেসিকে প্রথম একাদশে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন আর্জেন্তাইন কোচ লায়োনেল স্কালোনি। তবে এদিন চেনা ছন্দের ধারেকাছে ছিলেন না এলএমটেন। চোটের আশঙ্কায় যেন সারাক্ষণ গুটিয়ে থাকলেন। পক্ষান্তরে, আর্জেন্তাইন রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে প্রথম ২৫ মিনিট দাপিয়ে বেড়াল ইকুয়েডর। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোদের পারফরম্যান্স ছিল বড়ই সাদামাটা। ৩৫ মিনিটে মেসির বাঁক খাওয়ানো কর্নার হেডে ফ্লিক করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান অরক্ষিত আর্জেন্তাইন ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেজ (১-০)।
বিরতির পরেও খেলায় প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ আর্জেন্তিনা। বরং সমতায় ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া চেষ্টা চালায় ইকুয়েডর। ফলও মেলে হাতেনাতে। ৬১ মিনিটে বক্সে ডি পল হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। কিন্তু স্পটকিক থেকে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ এনার ভ্যালেন্সিয়া। তবে সংযোজিত সময়ে আর্জেন্তাইন সমর্থকদের স্তব্ধ করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান কেভিন রডরিগেজ (১-১)। আর টাই-ব্রেকারে মার্তিনেজ দক্ষতার সঙ্গে রুখে দেন অ্যাঞ্জেল মেনা ও আলান মিন্ডার শট। আর্জেন্তিনার হয়ে জাল কাঁপিয়েছেন যথাক্রমে জুলিয়ান আলভারেজ, অ্যালিস্টার, গঞ্জালেস মন্টিয়াল ও নিকোলাস ওটামেন্ডি। টাই-ব্রেকারে পেনাল্টি নষ্ট নিয়ে মেসি অবশ্য বিরক্ত। তবে দলের জয়ে খুশি তিনি।