কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ক্রীড়াক্ষেত্রে রাশিয়ার স্বচ্ছ্বতা নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন তুলে আসছে ওয়াডা। ২০১৬ সালে সোচিতে অনুষ্ঠিত উইন্টার ওলিম্পিকসে রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত ডোপিংয়ের মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। যার জেরে আন্তর্জাতিক খেলাধূলার আসর থেকে তিন বছরের জন্য নির্বাসিতও করা হয়েছিল তাদের। পরে শর্তসাপেক্ষে রাশিয়াকে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ডোপিং জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। মস্কোয় রাশিয়ার যে ডোপ টেস্ট ল্যাবরেটরি রয়েছে, তা ওয়াডার সমস্ত আইন ঠিকঠাক মেনে চলছে কিনা, তার প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ ছিল তাদের উপরে। কিন্তু সেই তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার সময়সীমা বারবার লঙ্ঘন করে রাশিয়া। শেষ পর্যন্ত ওয়াডার কাছে তারা যে তথ্য তুলে দিয়েছিল, তাতে নানা অসঙ্গতি ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওয়াডার দাবি, ওই রিপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রেও কারচুপি করেছে রাশিয়া। ডোপিংয়ের ঘটনা লোকাতে নথি বিকৃত করে ভুয়ো তথ্য পাঠানো হয় ওয়াডাকে। তারই জেরে এ দিন সুইজারল্যান্ডের লুসানে এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে রাশিয়ার উপরে নেমে আসে চরম শাস্তি। এমনটা যে হতে চলেছে, তা আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিল ক্রীড়া বিশ্ব। সোমবার স্রেফ শিলমোহর পড়ল রাশিয়ার চার বছরের নির্বাসনে।
অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আবেদনের জন্য ২১ দিন সময় রয়েছে রাশিয়ার হাতে। এই সময়ের মধ্যে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (রুসাডা) তাদের পরীক্ষা পদ্ধতি সহ যাবতীয় তথ্য সততার সঙ্গে ওয়াডার হাতে প্রদান করলে নিষেধাজ্ঞা বাতিল বা শিথিল হতে পারে। যদিও সেই সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই তথ্যাভিজ্ঞমহলের ধারণা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সোচিতে অনুষ্ঠিত উইন্টার ওলিম্পিকসে রাশিয়ার ২৪ জন অ্যাথলিটের নাম জড়িয়েছিল ডোপ কেলেঙ্কারিতে। তাঁদের আজীবন নির্বাসিত করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ১১টি পদক। এমনকী রাশিয়ান ওলিম্পিকস কমিটির সদস্য আলেকজান্ডার জুকোভকেও আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ধার্য হয় মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানা। তারপরেও শিক্ষা নেয়নি রাশিয়া। তারই চরম মাসুল গুণতে হল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে। কালিমালিপ্ত হল রাশিয়ার গৌরবময় ক্রীড়া ঐতিহ্য।