কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
রবিবার কল্যাণীতে হারের পর ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শুনতে হয়েছে মোহন বাগান কোচকে। এই ব্যাপারে ভিকুনা বলেন, ‘এটা সব দেশের ফুটবলেই হয়। পেশাদার কোচ হিসেবে জানি, তাঁদের প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়াতে হয়। আমি তা নিতে পছন্দ করি। সত্যি বলছি, আই লিগে ভালো ফল করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ তবে তাঁর চোখমুখ দেখেই বোঝা গিয়েছে, হটসিটে বসার চাপ যথেষ্ট রয়েছে। ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট হলেই নড়ে যেতে পারে তাঁর গদি। এমনিতেই সবুজ-মেরুন শীর্ষ কর্তারা স্প্যানিশ কোচকে কার্ড দেখিয়েছেন।
চার্চিল ম্যাচে মোহন বাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের পারফরম্যান্স নিয়ে মুণ্ডপাত চলছেই সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে। সোমবার অনুশীলনে দেবজিৎ সেভাবে অংশ নেননি। সিনিয়র গোলরক্ষক শিলটন পাল বিয়ের জন্য বুধবার থেকে শনিবার ছুটি নিয়েছেন। ফলে বুধবার কল্যাণীতে ট্রাউয়ের বিরুদ্ধে গোলরক্ষকের ভূমিরায় শঙ্কর রায়কে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সিটির কাছে হেরে গেলেও মণিপুরের ট্রাউকে যথেষ্ট সমীহ করছেন কিবু ভিকুনা।
ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি ভালো মানের স্ট্রাইকার না থাকা ভাবাচ্ছে মোহন কোচকে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি জেনেশুনে এমন ফুটবলারদের দলে নেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিলেন কেন? ভিকুনার অজুহাত, ‘মরশুমের শুরু থেকে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু গোল হচ্ছে না। সবে আই লিগের দু’টি ম্যাচ হয়েছে। সমর্থকদের বলছি একটু ধৈর্য্য ধরুন।’ দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভিকুনার জানা উচিত ছিল, মোহন বাগান প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। কলকাতা লিগে দ্বিতীয় ও ডুরান্ড কাপে রানার্স-আপ হয়েছিল দল। আর চট্টগ্রামের প্রতিযোগিতায় সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাঁর দলকে। এই পারফরম্যান্সের পরেও মোহন কোচের অজুহাত কি মেনে নেবেন সমর্থকরা?