কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বরাবরই ভারতীয় দল সীমিক ওভারের ক্রিকেটে রান তাড়া করে ম্যাচ জেতায় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। অতীতে তার প্রমাণ মিলেছে বার বার। এমনকী, হায়দরাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০৮ রানে রেকর্ড টার্গেট তাড়া করে ম্যাচ জিততেও তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি ‘টিম ইন্ডিয়া’কে। কিন্তু রবিবার, তিরুবনন্তপুরমে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটিংকে বেশ নড়বড়েই লেগেছে। তরুণ অলরাউন্ডার শিবম দুবের দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি এবং ঋষভ পন্থ ঝোড়ো ৩৩ রান না করলে ভারত ১৭০ রানে পৌঁছাতে পারত না। মুম্বইয়ে সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ ম্যাচে রহিত শর্মার রানে ফেরাটা খুবই জরুরি। ‘হিটম্যান’এর হোমগ্রাউন্ড। প্রতিটি ঘাস তাঁর চেনা। রহিত রানে ফিরলে ভারতের পক্ষে সহজেই বড় ইনিংস খাড়া করা সম্ভব হবে।
চলতি টি-২০ সিরিজে ভারতের ফিল্ডিং পাতে দেওয়ার মতো নয়। প্রথম ম্যাচে পড়েছিল চারটি ক্যাচ। কিন্তু সেই ব্যর্থতা প্রকট হয়নি বীর বিক্রমে বিরাট ম্যাচটা জিতিয়ে দেওয়ায়। কিন্তু সেই রোগ দ্বিতীয় ম্যাচেও সারেনি। বরং আরও চেপে বসেছে। পঞ্চম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে পর পর লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইসের ক্যাচ পড়ে। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সুন্দর ও ঋষভ পন্থ দায়ী। ভারতের তরুণ উইকেটরক্ষকের হাত থেকে ক্যাচ পড়ার পর দর্শকরা ‘ধোনি...ধোনি... ’ চিৎকার করতে থাকেন। যা দেখে ক্ষোভ উগরে দেন কোহলি। তবে ম্যাচ শেষ ক্যাপ্টেন কোহলি স্বীকার করে নিয়েছেন, এত খারাপ ফিল্ডিং করলে কোনও রানই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় দল ফিল্ডিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে গ্রাফ এভাবে নিম্নমুখী হওয়ায় উদ্বিগ্ন টিম ম্যানেজমেন্ট। এই সমস্যা দ্রুত শুধরে নিতে পারলে আরও সমস্যায় পড়বে ‘টিম ইন্ডিয়া’।
টি-২০ ক্রিকেটে বরাবরই ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পান। কারণ, এখানে রানের উৎসব চলে। যা দেখার নেশায় মাঠে ছুটে আসেন দর্শকরা। কিন্তু ভারতীয় বোলিং সেভাবে জমাট লাগছে না। প্রথম ম্যাচে ২০৭ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৮.৩ ওভারে ১৭৩ রান তুলে ফেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। এই বোলিং নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন যে বিরাট কোহলি দেখছেন না, তা জানা কথা। যশপ্রীত বুমরাহর অভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দীপক চাহারকে যেরকম ফর্মে দেখা গিয়েছিল, তার ধারে কাছে নেই তিনি। ওয়াশিংটন সুন্দরও পুরোপুরি ব্যর্থ। ফলে অতিরিক্ত চাপে পড়ে যাচ্ছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। অফ ফর্ম চলছে রবীন্দ্র জাদেজারও। ভুবনেশ্বর কুমার নতুন বলে ব্রেক থ্রু দিতে পারছেন না। শিবম দুবে পার্টটাইম বোলারের কাজ করছেন। তৃতীয় ম্যাচে দীপককে বসিয়ে তাই মহম্মদ সামিকে ফেরানো দরকার। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দরের জায়গায় খেলানো উচিত কুলদীপ যাদবকে।