মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
বুধবার থেকেই অনেক হোটেল হাউসফুল হয়েছে। আগাম বুকিং সেরেছেন বিদেশি পর্যটকরাও। ভালো ঠান্ডা না পড়ায় এবার বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম দেখা গিয়েছে। তবে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সেই আক্ষেপ অনেকটাই কমিয়েছে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হাজারদুয়ারি, কাঠগোলাপের বাগানবাড়ি, নশিপুর রাজবাড়িসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে রেকর্ড ভিড় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপনকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি একটানা চারদিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছে। ব্যাপক ভিড়ের আশা করছি। এবছর জাঁকিয়ে শীত না পড়ায় বিদেশি পর্যটক কিছুটা কম। তবে জেলা ও কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পর্যটক আসছেন। এই সপ্তাহেই যা ভিড় হওয়ার হবে। কারণ এরপর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মরশুম শুরু হবে। পর্যটকের সংখ্যা কমবে। এই চারদিনে রেকর্ড ভিড় হবে প্রতিটি জায়গায়। সর্বত্রই হোটেল বুকিং প্রায় শেষ। এরপর আবার রং খেলার সময় কিছুটা ভিড় হতে পারে। লালবাগের এক হোটেল মালিক পরিতোষ দাস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাস পড়ে গেলে ধীরে ধীরে পর্যটক কমতে থাকে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই আমাদের ভালো ভিড় হয়। এবার টানা চারদিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছে। বুধবারই অধিকাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। আমরা আশা করছি এই সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটকের ভিড় হবে। আমরা তো পর্যটকদের আশায় থাকি সারা বছর। এমন ছুটি দেখে যদি সকলেই এখানে আসেন, তাহলে আমাদের মুখে হাসি ফোটে।
লালবাগের টোটোচালক রমেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এদিন সকালেই আগামী দু’দিনের জন্য ভাড়া পেয়েছি। গোটা লালবাগ ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের ভালো উপার্জন হবে। ভাড়া পেয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আবার ভাড়ার জন্য ফোন করছে। পাশাপাশি অনেকেই বহরমপুর থেকে টোটো রিজার্ভ করে লালবাগে আসতে পারে। -নিজস্ব চিত্র