মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগের মাঝেই রাজ্যের বাংলার বাড়ি প্রকল্প বহু অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বহু হতদরিদ্র পরিবার রাজ্যের সৌজন্যে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে। তারই মাঝে এই প্রকল্প সামনে রেখে অনেকেই টাকা হাতানোর ফন্দি করেছে। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকা শুরু হতেই তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বেশকিছু অভিযোগ সামনে আসায় জেলা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় তিন হাজার উপভোক্তার টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তিন উপভোক্তার টাকা এবার ফিরিয়ে নেওয়া হল। জেলার মুরারই-১ ব্লকের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বেজায় চটেছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ মহলের আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি আগে আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর বাবার নামে আবেদন জানানো হয়। যদিও ঘরের টাকা পাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। সেই ঘটনা আড়াল করে মৃতের ছেলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়েছিলেন। আরেকটি ঘটনায় নাম বিভ্রাট হয়েছে। জানা গিয়েছে, নাম ও পদবি ভুল থাকায় উপভোক্তার বদলে বাড়ির টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। এছাড়া এক দম্পতি আগেই আবাসের ঘর পেয়েছিলেন। সেসময় স্বামীর নামে ঘর বরাদ্দ হয়েছিল। এবার তাঁর স্ত্রীর নামে আবেদন জানানো হয়েছিল। সার্ভের সময় সেই নাম বাদ যায়নি। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নাম উপভোক্তার তালিকায় ওঠে। এমনকী বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকাও অ্যাকাউন্টে ঢোকে। ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসতেই তিনজনের কাছ থেকেই টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনা কেন এবং কীভাবে ঘটল জেলা প্রশাসন তা খতিয়ে দেখতে চাইছে। সেইসঙ্গে এমন আর কোনও ঘটনা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে সার্ভের কাজ চলেছিল। সেসময় গোটা জেলাজুড়ে প্রায় ৪০ হাজার নাম বাদ গিয়েছিল। আগামী দিনে এই প্রকল্পে ৫২ হাজার উপভোক্তার পাকা ঘরে বসবাসের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, গাইডলাইন অনুযায়ী সার্ভের কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি যে পদেই থাকুক না কেন রেয়াত করা হবে না।