মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, খাবারের মান পরীক্ষা করার জন্য এখন নমুনা কলকাতায় পাঠাতে হয়। রিপোর্ট আসতে দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যায়। নমুনা সংগ্রহের ৪০দিনের মধ্যে রিপোর্ট না এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। জেলায় ল্যাবরেটরি তৈরি হলে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খাবারের নমুনা বর্ধমানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। কয়েকদিন আগে ‘ফুড সেফটি’ নিয়ে কলকাতায় বৈঠক হয়। সেখানে খাবারের মান পরীক্ষা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খাবারের দোকানগুলিতে লাগাতার অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জেলাগুলিতে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও খাবারের মান যাচাই করা যাবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা ভ্রাম্যমাণ গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবেন। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ফাস্টফুড বা হোটেলের পাশাপাশি মিষ্টির দোকানগুলিতেও অভিযান চালানো হবে। গতবছর জুলাই মাসে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা শক্তিগড়ের মিষ্টির দোকানগুলিতে অভিযান চালিয়ে কয়েক কুইন্টাল নষ্ট হয়ে যাওয়া ল্যাংচা উদ্ধার করেছিল। সেগুলি ভেজে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল ব্যবসায়ীদের। ওই ঘটনার পর জেলার আরও কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। সেগুলির নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট আসতে দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যায়। এক আধিকারিক বলেন, কলকাতায় ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা পাঠানো হয়। এছাড়া কলকাতার খাবারের মানও সেখানে পরীক্ষা করা হয়। সেকারণে রিপোর্ট পেতে কয়েক মাস সময় গড়িয়ে যায়। বর্ধমানে ল্যাবরেটারি হলে কলকাতার চাপ অনেকটাই কমে যাবে। রিপোর্ট পেতেও সমস্যা হবে না। আর এক আধিকারিক বলেন, বর্ধমান শহরের মধ্যেই ল্যাবরেটারি তৈরি করা হবে। সেইমতো জায়গা দেখা হচ্ছে। অনেক রেস্তরাঁ বা হোটেলের খাবারের মান ভালো নয়। সেগুলিতে অভিযান না চালানো হলে আগামী দিনে সমস্যা বাড়বে।