পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
ছাতনার ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের(এসবিএসটিসি) ওই বাসটিতে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা ছিল বলে শিক্ষিকার দাবি। ফলে ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কেপামারের ছবি পাওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফুটেজ পেতে রীনা কর নামে ওই শিক্ষিকা এসবিএসটিসি-র বাঁকুড়া ও আরামবাগ ডিপোতেও যোগাযোগ করেছেন। এসবিএসটিসি-র আরামবাগ ডিপোর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সমীর দে বলেন, বাস থেকে গয়না চুরির ব্যাপারে ফোনে একজন আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমাদের কাছে কেউ ফুটেজের জন্য লিখিত আবেদন জানাননি। তাছাড়া বিষয়টি পুলিসের এক্তিয়ারভুক্ত। ফলে তারাই যা তদন্ত করার করবে।
ছাতনা থানার এক আধিকারিক বলেন, আপাতত ওই শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ‘জেনারেল ডায়েরি’ লিপিবদ্ধ করেছি। গয়না হারিয়ে গিয়েছে ধরে নিয়েই আমরা তদন্ত শুরু করছি। তদন্তে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
রীনাদেবী বলেন, আমি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। সেইসূত্রে বাঁকুড়া শহরে থাকি। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কমলপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য আরামবাগ-পুরুলিয়া রুটের ওই সরকারি বাসে চাপি। আমার ছেলেও সঙ্গে ছিল। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শ্বশুরবাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে পড়ার জন্য সাইড ব্যাগে গয়না ভরে নিয়ে যাচ্ছিলাম। গোবিন্দনগর বাস স্টপেই কেপমার ওই মহিলা বাসে ওঠে। তার কোলে একটি শিশু ছিল। পাশে ওই মহিলা বসার পর থেকেই তার কোলের শিশুটি নানাভাবে আমাকে বিরক্ত করতে থাকে। আমার চুল, পোশাক ধরে টানাটানি শুরু করে। ওই শিশুর দিকেই আমার খেয়াল ছিল। সেই সুযোগে ওই মহিলা আমার ব্যাগ থেকে সোনার একজোড়া কানের দুল, চেন ও দু’টি আংটি হাতিয়ে নেয়। রীনাদেবী আরও বলেন, শিশুটি বিরক্ত করার সময় ওই মহিলা কোথায় যাবে তা জিজ্ঞাসা করি। পুরুলিয়ার হুড়া থানার লালপুর পর্যন্ত যাবে বলে সে আমাকে জানায়। কিন্তু, ছাতনা বাইপাসের কাছে বাস দাঁড়াতেই সে নেমে যায়। তখনই আমার ছেলের সন্দেহ হয়। কিন্তু, আমি বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দিইনি। বেশ কিছুক্ষণ পরে বাস থেকে নামার সময় ব্যাগের দিকে নজর দিতেই গয়না উধাওয়ের বিষয়টি জানতে পারি। চলন্ত বাসে ঘটনা ঘটনায় পরপর দু’দিন ছাতনা ও বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও ফিরে আসি। তখন জেলা পুলিসের আধিকারিকদের দ্বারস্থ হই। তারপর ছাতনা থানা অভিযোগ জমা নেয়।