পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে প্রভাব পড়েছে সেদেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতেও। ফলে উপার্জনের জন্য পর্যাপ্ত কাজে ভাটা পড়েছে। অগত্যা, আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে এদেশে চলে আসা তাই নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হচ্ছে রানাঘাট পুলিস জেলার বিশেষ দলের হাতে। এমনই একটি বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তিন বাংলাদেশির হদিশ পান তদন্তকারীরা। কিছুদিন আগেই তারা হাঁসখালির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ডিঙিয়ে এদেশে ঢুকেছিল।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের দালালদের সঙ্গে হওয়া কথা অনুযায়ী সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আত্মগোপন করে থাকাকালীনই ভারতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাবে তারা। কিন্তু সেই সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে দেখে ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার ছক করে ধৃত তিনজন। যদিও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার আগেই ওই তিন অনুপ্রবেশকারীকে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। তাদের নাম মহম্মদ অভি মিঞা, মহম্মদ সুজ্জল মিঞা এবং তানিয়া আক্তার। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও টাঙ্গাইল জেলায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আন্তরাষ্ট্র মানবপাচার চক্রের এক দালালের হদিশ পান তদন্তকারীরা। এরপর অভিযান চালিয়ে শীলবেড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকেও। তার নাম শরিফুল মণ্ডল। সে হাঁসখালি থানার রামনগর এলাকায় বাসিন্দা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় ওই দালালকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রে আর কে কে জড়িত তা জানা যাবে। পাশাপাশি কোন কোন পথ ব্যবহার করে অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে তাও চিহ্নিত করা যাবে বলে জানান তদন্তকারীরা।