পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কারখানা সম্প্রসারণের কাজে হাত দিয়েছে সেই কাজে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের তৎপরতাও তুঙ্গে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে ইস্কো তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। সেখানে তাঁরা দাবি জানিয়েছিলেন, আগে স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের কাজ দিতে হবে। তাঁদের পাওয়া না গেলে তখন বাইরে থেকে নিয়োগ করতে হবে। প্রস্তাব না মেনে ইস্কো বাইরের লোক নেওয়া শুরু করেছে। ইস্কোর সেফটি ট্রেনিং সেন্টারে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। এদিন সকালে ‘বেকার যুবক-যুবতী মঞ্চ’-এর ব্যানারে মিছিল করে ইস্কো সেফটি ট্রেনিং সেন্টারে হাজির হন স্থানীয়রা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান শিবানন্দ বাউড়িও। নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। আধিকারিকদেরও বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য স্থানীয় কাউন্সিলার অশোক রুদ্র বলেন, ‘ভিনরাজ্য থেকে আনা কাজে লাগানো হবে। আর এখানকার বেকার যুবক-যুবতীরা শুধু কারখানার ধোঁয়া খাবেন, তা হয় না। স্থানীয়দের কাজ দিতে হবে। তারপর বাইরের মানুষ কাজ করার সুযোগ পাবেন।’তাঁর অভিযোগ, ঠিকাদার এবং ইস্কো কর্তৃপক্ষের একাংশ ইচ্ছে করেই বহিরাগতদের নিয়ে আসেন। তাঁদের দিয়ে কম বেতনে কাজ করানোর জন্যই তাদের এই ফর্মুলা।স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ‘স্থানীয়দের কাজের অগ্রাধিকার দেওয়া হোক, সেই দাবি আমাদেরও রয়েছে। তা বলে জঙ্গি আন্দোলন করে উন্নয়নের কাজ থমকে দেওয়া হবে, তা সমর্থন করে না বিজেপি। তৃণমূল এলাকার ভালো চায় না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজে ওরা বাধা দিচ্ছে।’-নিজস্ব চিত্র