পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
স্কুলে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বদলে অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার এসএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য স্কুলে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল। সেই সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। গেট বন্ধ করে শিক্ষকদের আটকে রাখা হয়। তারপর শিক্ষকরা ছাড়া পেলে এসএফআইয়ের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। শিক্ষকরা কয়েকজন এসএফআই মহিলা কর্মীর গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার প্রতিবাদে বুধবার বিদ্যালয়ে খোলার আগে থেকে গেটের বাইরে জমায়েত করে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধান শিক্ষক সহ অভিযুক্ত শিক্ষক ও করণিককে তারা স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা ঢুকতে পারলেও এক শিক্ষককে তারা কান ধরে ভুল স্বীকার করতে বাধ্য করে। সেই ঘটনার ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দায় সরব হয়েছে শিক্ষকমহল।
বিদ্যালয়ের এক অভিভাবিকা কবিতা মাহাত বলেন, ভালোভাবে স্কুল পরিচালনা করার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সেটা কোনও অভিভাবকের অমতে নেওয়া হচ্ছে না। তারপরও এভাবে আন্দোলন মানা যায় না। এতে পড়ুয়াদের মা-বাবা সকলেই খুব আতঙ্কিত। এদিনের এই ঘটনার পর অনেকেই বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের পাঠাবে কি না চিন্তা করছিল।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিস মণ্ডল বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের শিক্ষকদের ঝান্ডা দিয়ে মারা হয়েছে। আমরা বিদ্যালয়ে ঢুকে যাওয়ার পর এক শিক্ষককে কান ধরানো হয়েছে বলে শুনেছি। ছাত্রদের এই আচরণ কাম্য নয়। ভর্তি ফি-র বিষয়টি মিটে গিয়েছিল। অভিভাবকদের কোনও অভিযোগ নেই। কয়েকজন অভিভাবক পড়ুয়াদের ভর্তি করতে না পেরে এসএফআইয়ের সঙ্গে এসে আন্দোলন করছেন।
যদিও এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রীতম রুজ বলেন, অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। মঙ্গলবার বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আইসিআই স্কুলের শিক্ষকরা। আমাদের মহিলা কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। আমাদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এদিন তার প্রতিবাদে স্কুলের সামনে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। কান ধরার যে ঘটনা কথা বলা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। কেউ যদি নিজে থেকে কান ধরে আমরা কী করতে পারি? এদিকে, জেলার বিভিন্ন জায়গায় ফি বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনের জেরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, জেলার স্কুলগুলিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট ফির অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। বিক্ষোভের মুখে কান ধরে ক্ষমা চাইছেন স্কুল শিক্ষক। -নিজস্ব চিত্র