পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের ঘোলারপাড়ায় সুচিত্রার বাপেরবাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংলোর বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সন্দীপের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। অভিযোগ, প্রায় এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও ওই যুবক বিয়েতে রাজি ছিল না। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলত। একাধিকবার ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের সেকথা জানিয়েছিলেন। দিন চারেক আগে অসুস্থতার কারণে স্বামীর সঙ্গে বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বাইকে চেপে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। রাতেই পরিবারের লোকজন মেয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তাঁদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে লোকজন নিয়ে জামাই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে। এরপর হাত বেঁধে পড়ে থাকার নাটক করে। বুধবার সকালেও ঘটনাস্থলে মৃতার জুতো, চাদর, হেলমেট, বাইক ও ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় পুলিস।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সন্দীপ বলে, বাইকে করে দু’জন বাড়ি ফিরছিলাম। তখনই দু’-তিনজন সামনে চলে আসে। এরপরই কোনও স্প্রে করায় চোখ জ্বালা করছিল। নেশার মতো লাগছিল। বাইকের চাবি ও মোবাইল চাওয়ায় দিয়ে দিই। স্ত্রী মোবাইল ফেলে দিলে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে দু’জন চাকু নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। একজন গলায় ধরেছিল। আমি হেলমেট দিয়ে মেরে জলে ঝাঁপ দিই। কেন এই হামলা তা বুঝতে পারছি না। মৃতার মা সরস্বতী বাগদি বলেন, প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও জামাই বিয়েতে রাজি ছিল না। পুলিসের মধ্যস্থতায় হিংলো গ্রামেই মনসা মন্দিরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলত। আমরা মেয়েকে বুঝিয়ে রাখতাম। ওইদিন বিকেল ৪টে নাগাদ জামাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হয়। রাতে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই। ছিনতাইকারীরা হামলা করেছে বলে আমাদের বলেছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে ষড়যন্ত্র করে জামাই মেয়েকে খুন করেছে। ওর কঠোর শাস্তি চাই। মৃতার মামা কালীপদ বাগদি ও প্রতিবেশী কাজি হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই।
সন্দীপের মা অভিযোগ ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বাড়িতে কোনও অশান্তি ছিল না। মাঝেমধ্যে শাশুড়ি-বউমার মধ্যে নামমাত্র কথা-কাটাকাটি হতো। ছেলে ফোনে সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরবে বলে জানিয়েছিল। আমি রাতে ফিরতে বারণ করেছিলাম। এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যায় মহম্মদবাজার থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে খেতে পায়ের ছাপও নজরে আসে। জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিস। এদিনই বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এক পুলিস আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।