পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃশানু রায় বলেন, চুরির ঘটনায় বসিরহাট থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর রাতে আরামবাগ শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজ্য সড়কের ধারে একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরি হয়। দোকানের শার্টার ভেঙে নগদ টাকা ও বহু দামি মোবাইল সহ নানা সামগ্রী দুষ্কৃতীরা চুরি করে চম্পট দেয়। কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি যাওয়ার পর মোবাইল দোকানের মালিক আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সি সি টিভির সূত্র ধরে কিছুদিন আগে পুলিস একটি পিকআপ ভ্যান বাজেয়াপ্ত করে। পরে মামলার তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ নাথের নেতৃত্বে একটি পুলিসের দল অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাহিনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের জেরায় সে আরও একটি পিকআপ ভ্যানের হদিশ দেয়। সে নিজে একটি পিকআপভ্যান চালাত বলে জেরায় জানিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ ও মাটিয়া এলাকা থেকে পৃথক দু’টি পিকআপ ভ্যান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই ভ্যান নিয়েই দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালাতে যেত। চুরির পর যাতে তারা ধরা না পড়ে তারজন্য পিকআপ ভ্যানগুলির রং বদলে ফেলা হয়। নতুন রঙের প্রলেপ এখনও স্পষ্ট। পিকআপ ভ্যান দু’টি ভিন্ন নামে রয়েছে।
আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, চুরি যাওয়া মোবাইলগুলির একটি এক সময় অন করেছিল। সেই সূত্র ধরে ট্র্যাক করা হয়েছিল। সেখান থেকেই আমরা গ্যাংয়ের সূত্র পাই। চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ধৃত ব্যক্তি চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই গ্যাংয়ে একাধিক সদস্য রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। দুষ্কৃতীরা আরামবাগে মোবাইল দোকানে চুরির আগে কয়েকবার রেকি করেছে। চুরির সময় দু’টি পিকআপ ভ্যানই ব্যবহার করা হয়েছিল। এই গ্যাংটি সপ্তাহ খানেক আগে গলসিতেও মোবাইল দোকানে চুরি করে বলে পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। আমরা এই চক্রের মূল পান্ডার খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছি।