অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, সাইবেরিয়ান বা পরিযায়ী পাখিদের এই এলাকায় আসার প্রথম কারণ হল বংশবিস্তার করা। কিন্তু পরিযায়ী পাখির দল এই এলাকা আর নিরাপদ মনে করছে না। এখানে পাখিরা বাচ্চার জন্ম দিয়ে তাদের নিয়ে ফিরে যায়। কিন্তু বিলগুলি আর আগের মতো না থাকায় পরিযায়ী পাখির দল মুখ ফিরিয়েছে। কান্দির জেমো উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সূর্যেন্দু দে বলেন, পাখির দল এই এলাকা আর নিরাপদ বলে মনে করছে না। ছোট পোকা বা ছোট মাছ পাখিদের প্রধান খাদ্য। সেই খাদ্যে টান পড়েছে। যদি খাবার না পায়, বাসা বাধতে না পারে, তাহলে পাখির দল আর এখানে আসবে না। কারোল বিলের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।
কারোল বিল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েকবছর ধরে বিলে অবৈধভাবে মাখনা চাষ শুরু হওয়ার পরেই পাখিদের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে। মাখনা চাষের কারণে বিলের জল দূষিত হয়ে পড়েছে। তাই পাখির দল আর বিলে বসতে পারছে না। কয়েকদিন ধরে মাখনা ফল তোলাও শুরু হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুকোমল বিশ্বাস বলেন, বিলে আর পাখি আসছে না। কারণ বিলে তো আর মাছ পাওয়া যায় না। তবে কিছু পাখি বিলের বদলে আমন ধানের জমিতে বসছে। তাতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পাখির দল মাঠের ধান খেয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় পল্লিশ্রী গ্রামের বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সদস্য লালন সরকার বলেন, পাখির দল এখনও সেভাবে আসেনি। কিন্তু এর কারণ কিছু বুঝতে পারছি না। যদিও স্থানীয় সিজগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাসমিনা বেগম বলেন, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এখন অল্পসল্প পাখি এসেছে। কিছুদিনের মধ্যে পাখি বিল ভরিয়ে দেবে।