অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিএফও দীপক এম বলেন, কটেজগুলো ফের চালু হবে। তাই কটেজগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। শীতের মরশুমে হেরিটেজ ও নেচার ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারে বিপুল পরিমাণে মানুষ আসবেন বলে আশাবাদী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে প্রায় ৭৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে বন দপ্তরের গোপগড় হেরিটেজ ও নেচার ইকো - ট্যুরিজম সেন্টার রয়েছে। এই ট্যুরিজম সেন্টারের ভিতরে রয়েছে কয়েক হাজার গাছ। চারিপাশে এই বিপুল পরিমাণ গাছের মাঝে বনভোজন ও বেড়াতে যাওয়ার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। এই ট্যুরিজম সেন্টারের ভিতরে বিশেষ ওয়াচ টাওয়ার, পিকনিক স্পট, ছোটদের খেলাধুলার নানা উপকরণ। জানা গিয়েছে, এই পার্কের ভিতরে রয়েছে একটি হেরিটেজ ভবন। শোনা যায়, মেদিনীপুরে উঁচু টিলার উপর একটি দুর্গ তৈরি করেছিলেন এক রাজা। সেই দুর্গ সকলের কাছে গোপগড় নামে পরিচিত। পরবর্তী কালে ইংরেজরা দখল করে নীলকুঠি তৈরি করেছিলেন। তবে সেসবের অস্তিত্ব আর নেই। তবে ইকো পার্কের ভিতর লাল ইটের তৈরি ভবনটি ‘হেরিটেজ’ এর তকমা পেয়েছে। সেটি প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো বলে জানা যায়। তেলিনিপাড়ার কোনও এক জমিদার বাগানবাড়ি হিসেবে বাড়িটি বানিয়েছিলেন বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এক বন দপ্তরের আধিকারিক বলেন, হেরিটেজ অংশটুকু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। পার্কটিতে পর্যটকদের বসার জন্য আরও বেশি পরিমাণে চেয়ারের ব্যবস্থাও করা হবে। ট্যুরিজম সেন্টারের ভিতরে ৬টি কটেজ রয়েছে। আগে তার মধ্যে চারটি কটেজে এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে সব›কটি কটেজে এসি মেশিন বসানো হবে। অনলাইনে কটেজ বুকিং করতে পারবেন পর্যটকরা।
এদিন পার্কে বেড়াতে এসেছিলেন পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক দীপক মাহাত। তিনি বলেন, এই ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের ভিতরে মনোরম পরিবেশ। প্রচুর মানুষ আসছেন পিকনিক করতে। শুনলাম কটেজগুলো ফের চালু হচ্ছে। খুব ভালো উদ্যোগ।-নিজস্ব চিত্র