অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বনদপ্তরের বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত ডিভিশনের আধিকারিক রাজু সরকার বলেন, হাতির দলটিকে বনকর্মীরা সর্বক্ষণ নজরে রেখেছেন। তবে এদিন ভোরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে যাওয়ায় তাদের বাগে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। ওই সময় লোকালয়ে ঢুকে দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করেছে। পরে সকালের দিকে তিনটি দল একত্রে কুচিয়াকোল বিটের শিবেরডাঙার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আঙারিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুর চৌধুরী বলেন, এলাকায় হাতি থাকার জন্য রাত ১টা পর্যন্ত জেগে বসেছিলাম। তারপর ঘরে শুয়ে পড়ি। দেড়টা নাগাদ হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে দেওয়াল ভাঙার আওয়াজ পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি উঠানে দু’টি হাতি দাঁড়িয়ে রয়েছে। খুব কাছেই চলে গিয়েছিলাম। কোনওরকমে দৌড়ে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচিয়েছি। হাতি চলে যাওয়ার পর ভোরের দিকে দেখি ঘরের একাংশের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে।
ওই গ্রামেরই গৃহবধূ পারিয়া খাতুন বলেন, রাত দেড়টার দিকে হাতির দল আমাদের গ্রামে ঢোকে। খাবারের খোঁজে আমাদের ঘরের দু’পাশের ইটের দেওয়াল ভেঙে দেয়। ঘরের ভিতরের দিকেই হুড়মুড়িয়ে দেওয়াল ভেঙে পড়ে। হাতি এসেছে বলে জেগে ছিলাম। না হলে দেওয়াল চাপা পড়তাম।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা আজবাহার খান বলেন, আমার ১৫ কাঠা জমির আলুগাছ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ঋণ করে চাষ করেছিলাম। এখন কী করে তা পরিশোধ করব ভেবে পাচ্ছি না। বনদপ্তরের লোকজন এসেছিল। তারা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে বলে গিয়েছে। যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে হাতিগুলেকে এলাকা থেকে তাড়ানো হোক। এলাকায় থাকলে আবারও ক্ষতি করবে।
বনদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আটটি শাবক সহ ৫৩টি হাতির দল সোমবার ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চমকাইতলার দিক থেকে জয়পুরের শালতোড়া এলাকায় ঢোকে। দলটি জগন্নাথপুর এলাকার জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে। আসার পথে সদ্য লাগানো আলুর ক্ষয়ক্ষতি করে। তবে ওইদিন রাতে ফসল রক্ষা করার জন্য স্থানীয়দের মশাল দেখে হাতির দল বাধা পায়। পুনরায় দলটি পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানায় আস্থাশোলের জঙ্গলে অবস্থান করে। তবে মঙ্গলবার রাতে দলটি আবার জয়পুর অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। স্থানীয়দের বাধায় তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। এলাকায় তাণ্ডব চালায়।
(দেওয়াল ভেঙে ঘরে তাণ্ডব হাতির। নিজস্ব চিত্র)