অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
এদিকে দিনের পর দিন সংসারের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। অসহায় পরিবার হাসিবুরের পথ চেয়ে বসে আছে। হাসিবুরের বৃদ্ধ বাবা সেভাবে কোনও কাজ করতে পারেন না। একাদশ শ্রেণিতে পড়ে তাঁর এক ছেলে। অপর ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। খেতমজুরি করে কোনও রকমের সংসার চলে তাদের।
নবগ্রামের বাড়িতে বসে এক ছেলে আব্দুল খালেক শেখ বলে, আব্বা প্রায় দু’বছর আগে সৌদি আরবে যান হজ করতে। তারপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার কারণে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে আমার আব্বা আর ভারতে ফিরতে পারছেন না। বর্তমানে তিনি এখন মক্কার হারাম শরিফে আছেন। ওঁকে ছাড়া পরিবারের সকলে খুব অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। তাঁকে ভারতে ফেরানোর অনুরোধ করে হাইকমিশনের কাছে আবেদন করেছি। বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাবাকে দেশে ফেরানোর জন্য সহযোগিতা করছে। আমরা অপেক্ষায় আছি। ওই সংস্থার কর্ণধার মতিউর রহমান বলেন, হাসিবুরের মতো অনেকেই এই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। বিদেশে গিয়ে কারও সাহায্য না পেয়ে অনেকেই দেশে ফেরার আশা ছেড়ে লুকিয়ে দিনযাপন করছেন। দুই সপ্তাহ আগেও আরও একজনের পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। তিনি সেখানকার পুলিসের কাছে গেলে পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আমরা বিদেশ মন্ত্রকের সহযোগিতা নিয়ে সম্প্রতি তাঁকে নতুন পাসপোর্ট করে দিতে পেরেছি। এখন হাসিবুরের জন্য হাইকমিশনকে জানিয়েছি। আশা করছি হাইকমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। -নিজস্ব চিত্র