অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বেলদাতে কালীমন্দির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি প্রাচীন ও বড় শ্মশান। এই শ্মশানে বেলদা ১ ও ২ দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি আশপাশের মানুষজন শবদাহ করেন। প্রতিমাসে গড়ে ৫০টিরও বেশি শবদাহ হয় এই শ্মশানে। কিন্তু এই শ্মশানে বর্ষার সময় কিংবা দুর্যোগের সময় দাহ করতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। বেলদাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সেই সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে এলেন এলাকার বিধায়ক। বিধায়ক কোটা থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১২ লক্ষ টাকা। সেই অর্থ দিয়ে আধুনিকীকরণ করা হবে শ্মশানের। এই টাকায় স্থায়ী ছাউনি সহ কংক্রিটের চুল্লি নির্মাণ করা হবে। থাকছে শ্মশানযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করার নির্দিষ্ট জায়গা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা। এছাড়াও শ্মশানের মধ্যে থাকা অস্থায়ী ছাউনিটিরও সংস্কার করা হবে। বুধবার সেই মোতাবেক বিধায়কের উপস্থিতিতে শুরু হয়ে গেল সংস্কারের কাজ।
বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, প্রাচীন এই শ্মশানের আধুনিকীকরণ করানোর জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একটি স্থায়ী কাঠামো করে কংক্রিটের চুল্লির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে যাতে শ্মশান যাত্রীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, তার জন্যও থাকছে শেডের ব্যবস্থা। তাঁদের বিশ্রামের জায়গাও থাকছে। শ্মশানের দায়িত্বে থাকা শ্মশান বন্ধু গঙ্গাধর দেবনাথ বলেন সংস্কারের পর শ্মশানে আসা যাত্রীদের আর কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। বিধায়কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, প্রাচীন এই শ্মশানটির সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী আমার কাছে দাবি করে আসছিলেন। বর্তমান আর্থিক বর্ষে নতুন করে শ্মশানটির আধুনিকীকরণ করার জন্য ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামীতে বেলদাতে থাকা অবাঙালিদের জন্য আরও একটি নতুন আধুনিক চুল্লির ব্যবস্থা করা হবে। হবে বৈদ্যুতিক চুল্লিও। -নিজস্ব চিত্র