অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইচ্ছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমী আদিবাসী পাড়ায় প্রায় চারমাস ধরে ওই ময়ূরীটি আসছে। ওই পাড়ায় প্রায় ২০টি পরিবার থাকে। পাড়াটির একপাশ থেকে শুরু হচ্ছে বিশাল এলাকাজুড়ে মোরাম খাদান ও জঙ্গল। অপরপাশে দুর্গাপুর পুরসভা এলাকা। শহর লাগোয়া ওই আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দারা বাড়িতে মুরগি পোষে। মুরগিগুলি রাস্তাঘাটে, জমিতে চরে বেড়ায়। ওই মুরগির সঙ্গেই ময়ূরীটিও চরতে আসে। তবে এখন মুরগির আকারের থেকে বড় হয়ে গিয়েছে ময়ূরীটি। এখন ওই পাড়ার বাইরের কোনও লোকজন এলেই তাঁদের নজর পড়ছে ময়ূরীটির উপর। কিন্তু ময়ূরীটিকে যাতে কেউ আঘাত ও ক্ষতি না করে তার জন্য কড়া নজরদারি রাখেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সবোদি মাড্ডি বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই ময়ূরীটি আসছে এলাকায়। তখন সে মুরগীর মতোই আকারে ছোট ছিল। গায়ে রঙ ছিল না। আমরা অন্য কোনও পাখির বাচ্চা ভাবতাম। এখন মুরগিগুলির থেকে অনেক বড় আকার হয়ে গিয়েছে ময়ূরীটির। এখন নজরে পড়ছে সবার। তবে এখনও মুরগিগুলির সঙ্গেই চরে বেড়ায়। আমাদের কেউ ওর ক্ষতি করে না। মুরগিকে খাবার দিলে মুরগির সঙ্গেই ওই ময়ূরীটিও খাবার খায়। আবার জঙ্গলে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যাম টুডু ও সোমনাথ মুর্মু বলেন, মুরগির সঙ্গে থেকে ময়ূরীটিও মাঠেঘাটে চরে। আমাদের পাড়ার লোকজনকে ভয় পায় না। বাইরের এলাকার লোকজন এলে বা কুকুর বেড়াল দেখলে কংক্রিটের বাড়ির ছাদে উড়ে চলে যায়। তবে আমাদের এলাকাটি ময়ূরীটির জন্য নিরাপদ বলেই এখানে আছে। প্রসঙ্গত, বর্ধমান বনদপ্তর থেকে কাঁকসার গড়জঙ্গলে প্রায় ১০ বছর আগে বেশকিছু ময়ূর ছাড়া হয় সংরক্ষণের জন্য। ওই ময়ূরের সংখ্যা বর্তমানে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাপাশের ব্লকগুলির জঙ্গলে চলে যাচ্ছে।