অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
সালানপুর থানার আইসি অমিত হাতি বলেন, পড়ুয়াকে মারধরের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এই ঘটনা। পুলিস সূত্রে দাবি, বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে প্রেম হয় এক নাবালিকার। ইনস্টাগ্রামে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল। যদিও পরিবারের বাধায় তাদের সম্পর্কে সাময়িক ছেদ পড়ে। মেয়েটি বিহারের কোনও একটি অনুষ্ঠানে গেলে, সেখানে শেখপুরের এক তরুণ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এমনকী বিরক্তও করে। মেয়েটি সেই কথা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া তার প্রেমিককে জানায়। তখন ফোনে ১৪ বছরের ওই কিশোর শেখপুরের তরুণকে ধমক দেয়। সেই থেকেই বিবাদের সূত্রপাত। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার কাছে ‘থ্রেট’ পেয়ে ইগোয় লাগে সদ্য সাবালক তরুণের। সে দলবল নিয়ে ট্রেনে চড়ে হাজির হয় রূপানারায়ণপুরে। তদন্তে নেমে সতেন্দ্র কুমার ও গৌরভ কুমার নামে দুই আঠারো বছরের তরুণকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সালানপুর থানার আছড়ার বেসরকারি স্কুল থেকে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিল পড়ুয়া। তখনই রূপনারায়ণপুরের প্রতাপপুর মোড়ের কাছে তার পথ আটকায় চার তরুণ। এরপরই বেধড়ক মারধর করা হয়। পড়ুয়াকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে পিঠাইকেয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার রূপনারায়পুর ফাঁড়িতে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জমায়েত করে লিখিত অভিযোগ করা হয়। বিহার থেকে যুবকরা এসে স্থানীয় পড়ুয়াকে মারধর করায় এলাকায় যথেষ্ট ক্ষোভ ছড়িয়েছে। অভিযোগকারী পরিবার মারধরের ঘটনা বললেও কী কারণে মারধর তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি। পুলিস তদন্তে করে প্রেমের বিষয়টি জানতে পারে।