মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা সাকির শেখ বলেন, ‘সকাল থেকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। একে একে সব বাড়িগুলি জলে তলিয়ে গেল। আমার বাড়িটিও নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম। ছেলেপুলে নিয়ে কোনও ক্রমে বাইরে পালিয়ে এসেছি। কিছুই সরানোর সুযোগ পাইনি। কোথায় যাব ভেবে পাচ্ছি না। কপালে যা রয়েছে তাই হবে।’ অপর এক গ্রামবাসী জাহিরুল হক বলেন, ‘দশটির বেশি বাড়ি নদীতে পড়ে গিয়েছে। মানুষের দুর্দশার অন্ত নেই। অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ আদতে কিছুই হচ্ছে না। ভাঙনের অর্থ তছরুপ হচ্ছে। এত বড় নদীতে পাড়ের ধারে কয়েকটি বালির বস্তা ফেলে কোনও লাভ হবে না।’
সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, ভাঙন সামশেরগঞ্জবাসীর যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও এলাকায় ভাঙন হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দুর্দশা দেখা যাচ্ছে না। মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সাধ্যমতো ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কেন্দ্র সরকার ভাঙন রোধের কোনও কাজ করছে না। কেন্দ্রকে বলব সামশেরগঞ্জবাসীকে বাঁচান।’
অপরদিকে, জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক জাকির হোসেন তাঁর জঙ্গিপুরের বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভাঙন রোধের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রায় দেড়শ কোটি টাকা দিলেও সেই টাকা সঠিকভাবে ব্যায় হয়নি। ভাঙন রোধের কাজে দুর্নীতি হয়েছে। নইলে ভাঙন এত ভয়াবহ আকার ধারণ করত না। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিক ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। গঙ্গার ভাঙনকে আগেই জাতীয় সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভাঙন রোধের দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য উভয় সরকার মিলে এই ভাঙনের রোধের কাজ করুক। মানুষের এই কষ্ট আর দেখা যাচ্ছে না।’