মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এখানে থাকে একচালার ডাকের সাজের প্রতিমা। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবীকে খিচুড়ি, পুষ্পান্ন, পরমান্ন ভোগ নিবেদন করা হয়। উমা মহিলা সমিতি দেবী দুর্গার পুজোর পাশাপাশি আলাদা করে বাবা বুড়োশিবের ভোগেরও আয়োজন করে। পুজোর দিনগুলিতে দুপুরে মণ্ডপের সামনে প্যান্ডেল করে কমিটির সদস্য এবং পাড়া প্রতিবেশীরা একই সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। তবে যাঁরা দেবীকে বিসর্জন দিতে যান, তাঁদের জন্য আমিষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। শুধু দুর্গা পুজো নয়, বছরভর নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজো উপলক্ষ্যে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে বস্ত্র বিলি করা হয়। মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের বইখাতা তুলে দেয় উমা মহিলা সমিতি। ২০২৩ সালে ‘সামাজিক সচেতনতায়’ প্রথম হয় বুড়ো শিবতলা উমা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি। তারা দুর্গাশ্রী পুরস্কার পেয়েছে। উল্লেখ্য, এই পুজো কমিটি বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি অনুদান পাচ্ছে।
পুজো কমিটির সম্পাদিকা তাপসী ঘোষ বলেন, সম্পূর্ণ ঘরোয়াভাবে পুজো হয়। সবার আন্তরিকতা দেখে মনে হবে যেন কোনও একান্নবর্তী পরিবারের পুজো। গত ছ’বছর আগে এলাকার মহিলারা এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছি। তবে পাড়ার দাদা ও ভাইয়েরা সব সময় আমাদের সব রকম সহযোগিতা করে। এবছর চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন হবে। আমাদের ঘরের মেয়ে উমা পরিবার নিয়ে আসবেন, তাঁকে বরণ করতে উমা মহিলা কমিটি প্রস্তুত।