মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বিডিও বলেন, আমাদের সময়ে স্কুলে এত সুযোগ সুবিধা পাইনি। বর্তমানে সরকার ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার প্রসারে এগিয়ে এসেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে আমার তরফে যতটা সম্ভব আমি সাহায্য করব।
এদিন রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে টিএলএম বিষয়ক কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় চক্রের বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৭০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও তার প্রয়োগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১০জন অভিজ্ঞ শিক্ষক সহজে ও স্বল্প মূল্যে কীভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগের জন্য উপকরণ তৈরি করা যায়, তা শেখানো হয়। কর্মশালা শেষে শিক্ষকদের ১০ নম্বরের মূল্যায়ন পরীক্ষাও হয়। তাতে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা উত্তীর্ণ হন। কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষকরা স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিষয় ভিত্তিক উপকরণ তৈরি করবেন। সেই সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে হাতেকলমে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করবেন। রাজপুত বাহুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক ঘণ্টায় বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ন’টি প্রজেক্ট তৈরি করেছি। কাগজ, আঠা, টুনিবাল্ব ও ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে তা বানানো হয়। যেগুলি শিশুরা দেখে আগ্রহী হয়। তাদের মনে কৌতূহলও বাড়ে। সেই বিষয়গুলিই আমি কর্মশালায় তুলে ধরেছি। ৫০ নম্বর হাটপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক তাজিরুল ইসলাম বলেন, ক্লাসে টিএলএমের ব্যবহার হয়। তবে উপকরণ খুব কম পরিমাণে রয়েছে। কর্মশালায় অনেক কিছুই জানা হল। রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের এসআই স্বপ্নেন্দু বিশ্বাস বলেন, টিএলএমের ব্যবহারকে সার্বিক করতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উপকরণের সাহায্যে ছাত্রছাত্রীরা হাতেকলমে শিখতে পারবে। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।