মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজস্ব অধিদপ্তর বা ডিআরআই, বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে চাপড়ায় একটি মেগা অভিযান চালায়। সীমানগর এলাকার ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে যানবাহনের ব্যাপক তল্লাশি চলে। মোট চার দফায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সেই অভিযান শুরু হয়। প্রথম একটি সন্দেহজনক মারুতিকে আটক করা হয়। তাতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫ কেজি সোনার বিস্কুট সহ দু’জন পাচারকারীকে ধরা হয়। তার পরেই দু’টি বাস থেকে আরও পাঁচ কেজি সোনার বিস্কুট সহ চারজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যেকেই করিমপুরের দিক থেকে আসছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার রাতেই করিমপুরের এক সোনার বিস্কুট কারবারির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। করিমপুরের রামনগর থেকে একটি সোনার বিস্কুট সহ আরও একজনকে পাকড়াও করা হয়। তার কাছ থেকে ১১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা অবৈধ নগদ বাজেয়াপ্ত হয়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে মোট ১৬টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ওজন সাড়ে ৯ কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত রফিক মন্ডল (নাম পরিবর্তিত) জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাচারের কাজে যুক্ত। কৃষ্ণনগরে এক ব্যক্তির কাছে সোনার বিস্কুট হস্তান্তর করার কথা ছিল তার। বিনিময়ে সে ৩ হাজার টাকা পেত। বাকি সোনা পাচারকারীরা জানায়, করিমপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে তারা সোনার বিস্কুটগুলি নিয়েছিল। সেগুলো দমদম রেল স্টেশনে হস্তান্তিরত করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তারা বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায়।
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক এ কে আর্য বলেন, বিএসএফ এবং ডিআরআইয়ের অভিযান সফল হয়েছে। চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিএসএফ অঙ্গীকারবদ্ধ।