মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিন তাঁরা দ্বারকেশ্বর নদে মাছ ধরে সদরবাজারে বিক্রি করতেন। এদিনও সাইকেলে করে দু’জনে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির অন্য সদস্যরাও মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনার খবর আসে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃতদের পুত্রবধূ গোলাপ মালিক বলেন, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ শ্বশুর ও শাশুড়ি সাইকেলে নদে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। আমরা একটু পরে যোতম। তার মধ্যেই দুর্ঘটনার খবর আসে। আমরা গিয়ে দেখি, তাঁদের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পাশে ভাঙা সাইকেল ও মাছ ধরার জাল ছিল। পুলিস এসে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে কোনও গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখুক।
প্রতিবেশী সকুমার মালিক বলেন, দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটছে তা আমরা জানতে চাই। মাছ ধরে কোনওরকম ওদের সংসার চলে। প্রশাসন যদি ক্ষতিপূরণ দেয় পরিবারের বাকি সদস্যদের সুরাহা হবে।
বাসুদেবপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রীজীব রায় বলেন, গড়বাড়ি থেকে বাসুদেবপুর পর্যন্ত রাস্তায় লরিগুলি বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে। এই এলাকায় গত কয়েকমাসে একাধিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু, পুলিস প্রশাসনের হুঁশ নেই। দুপুরের পর থেকে এখানে ট্রাফিক পুলিসের দেখা মেলে না। যে কারণেই একের পর এক প্রাণ চলে যাচ্ছে! বাসুদেবপুর মোড়ের মূল রাস্তা থেকে কেউ যদি আমতলার দিকে যান, তাহলে ট্রাফিকে গাড়ি দাঁড় করানোর মতো জায়গাই নেই। পুরসভা কিংবা প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন।
আরামবাগ থানার তরফে জানানো হয়, বাসুদেবপুর মোড়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। শোকার্ত পরিবার। (ইনসেটে) মৃত দম্পতি। নিজস্ব চিত্র ও ফাইল চিত্র