মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এসবিএসটিসির আসানসোল ডিপো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসানসোল থেকে ধর্মতলা প্রতিদিন ন’টি ও করুণাময়ীতে সাতটি বাস যায়। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, মালদহ সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ রুটে প্রতিদিন ৪০টি গাড়ি যাতায়াত করে বলে ডিপোর কর্মচারীদের দাবি। এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত আসানসোল ডিপো থেকে যাত্রী পরিবহণের জন্য বাস বেরিয়েছে মাত্র দু’টি। ডিপো কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিন ছ’টির বেশি বাস চালানোর পরিস্থিতি নেই। কেন এমন দশা? গেটের ব্যানার দেখিয়ে কর্মচারীদের দাবি, জানেন না আজকে ডেপুটেশন কর্মসূচি আছে। আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে প্রভাব পড়েছে।
আসানসোলের বাসিন্দা আমজাদ খান কলকাতা যাওয়ার টিকিট কাটতে এসে জানলেন, কলকাতার বাস খুব কম। বাসের জন্য ২টো ২০ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বাধ্য হয়ে আসানসোল স্টেশনের পথে হাঁটা দিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি বাসের এই খামখেয়ালিপনার জন্যই তাদের ব্যবসা লাটে ওঠে। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন গৃহবধূ তানিয়া মণ্ডল। তিনি বলেন, এসবিএসটিসি কাউন্টারে জানানো হয়, সব বাস চলছে না। কী কারণে এই বিভ্রাট, তা জানাচ্ছে না। আমরা সাধারণ মানুষ পড়েছি সমস্যায়।একই পরিস্থিতি ছিল দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। যাত্রীরা যখন বাসের জন্য হাহাকার করছে, তখন নিজেদের রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতিকে স্বাগত জানাতে দুর্গাপুর এসবিএসটিসির মূল কার্যালয়ে স্লোগান দিচ্ছেন সরকারি বাসের চালক, কন্ডাক্টররা। আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলন করার আইনত অধিকার রয়েছে। আমাদের এই কর্মসূচির জন্য কিছু বাস হয়তো রাস্তায় নামেনি। কিন্তু শ্রমিক স্বার্থে এই কর্মসূচি একান্ত জরুরি ছিল। নিজস্ব চিত্র