গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রেস্টিজ ফাইট পদ্ম শিবিরের। একই কেন্দ্রে দু’বার ভোট প্রচারে এসে তাতে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি প্রার্থী প্রচারে ভিড় করেছিলেন সেলিব্রেটিরাও। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র দখল করা নিয়ে বিজেপির এই অতি উৎসাহের কারণ রয়েছে। তিনি হলেন ঘাসফুল প্রার্থী তথা এই লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডের বিতর্কের জেরে দিল্লির সাংসদ ভবন থেকে অনৈতিক বহিষ্কারের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তাই ফের যদি মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে দিল্লিতে যান, তাহলে মুখ পুড়বে বিজেপি নেতাদের। তাই এই কৃষ্ণনগর লোকসভা দখল করা নিয়ে অতি আগ্রাসী মনোভাব দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। শুধু কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভাতে প্রায় ৫৪ হাজার লিড দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় ৬ হাজার ৭০০ ও তেহট্ট বিধানসভায় ২ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল ছিল বিজেপি। এবার তিন বিধানসভাতেই লিড বাড়বে বলে দাবি করছে গেরুয়া নেতৃত্ব। যদিও তাকে বিজেপির ‘ফানুস’ বলেই কটাক্ষ করছে ঘাসফুল শিবির।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বিধানসভায় পর্যাপ্ত লিড না এলে বিজেপির কৃষ্ণনগর লোকসভায় দাঁত ফোটাতে পারবে না। লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন বিধানসভায় লিড নিয়ে সংখ্যার ফুলঝুরি ছুটিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতার কথায়, মানুষ মোদি হাওয়ায় বিজেপিকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। এখানে বিজেপির বর্তমান সংগঠনের কোনও আলাদা কৃতিত্ব নেই। বরং বহু আদি কর্মীকে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব বসিয়ে রেখেছিলেন। ফল খারাপ হলে রাজ্য নেতৃত্ব এই ভুঁইফোঁড় নেতাদেরই শিক্ষা দেবে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট পরবর্তী সময়ে কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা নিশ্চিত মানুষ, তৃণমূলের স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করতে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন। কৃষ্ণনগর লোকসভায় এবার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।