গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে এদিন প্রচারে আসেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। তিনি এবার বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী। সেখানে ভোট মিটে যাওয়ায় এদিন তিনি মেজিয়ায় অরূপবাবুর হয়ে ব্যাটিং করেন। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঠানের নাম আছে। নতুন প্রজন্মের বহু ক্রিকেটপ্রেমীর কাছেই তিনি রোল মডেল। তাই এদিন তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ পাঠান হেলিকপ্টারে চেপে মেজিয়ায় আসেন। তিনি মেজিয়ার সুকান্ত স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন। তাঁকে দেখতে হেলিপ্যাডের ব্যারিকেডের পাশে ভিড় উপচে পড়ে। হেলিপ্যাড থেকে ইউসুফ একটি সুসজ্জিত হুড খোলা জিপে চেপে আসেন। মেজিয়া হাসপাতাল মোড়ের কাছ থেকে রোড শো শুরু করেন। মেজিয়া বাজার ঘুরে শ্যামাপুর মোড়ে বিকেল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ শেষ হয়। ইউসুফের সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া কেন্দ্রের দলীয় পর্যবেক্ষক সমীর চক্রবর্তী, শালতোড়ার প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন বাউরি, মেজিয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ রায় প্রমুখ। প্রায় চার কিমি রাস্তাজুড়ে তাঁর রোড শো হয়। প্রায় ১০০ ফুট দীর্ঘ দলীয় পতাকা নিয়ে রোড শোয়ে শামিল হন কর্মীরা। লক্ষ্মী সেজে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মিছিলে হাঁটেন মহিলারা। ইউসুফকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে ভিড় উপচে পড়ে। পুরুষ, মহিলাদের পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়ের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ইউসুফ রোড শো চলাকালীন জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। তারসঙ্গে নমস্কারও করেন। ইউসুফকে সামনে পেয়ে ব্যাটে অটোগ্রাফ নেন অনুরাগীরা। এছাড়া অনেকে সেলফি তোলেন। রোড শোতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেন কর্মীরা।
এদিকে সকাল থেকেই মেজিয়া সহ বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত চষে বেড়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দিলীপবাবু মেজিয়ার ট্যাক্সিস্ট্যান্ড থেকে রোড শো শুরু করেন। মেজিয়া বাজার ঘুরে শ্যামাপুর গ্রাম হয়ে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডেই শেষ করেন। দিলীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। এছাড়া এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাঁকুড়ার ধলডাঙা এলাকায় পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরেন দিলীপবাবু। শালতোড়া সহ বাঁকুড়া লোকসভার বিভিন্ন জায়গায় তিনি প্রচার করেছেন।