গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
হোগলবেড়িয়ার চাষি মদন বিশ্বাস জানান, বিগত কয়েক বছরে পাট কিংবা সব্জি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে অনেক বেশি টাকা খরচ করে শ্যালো মেসিনে সেচ দিতে সমস্যায় পড়ছেন সবাই। বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে এবং জলাশয়ে জল না থাকলে দুই মাস পরে পাট জাঁক দেওয়ার জন্য চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। তখন বাধ্য হয়ে আগের বছরের মতো পাম্প সেট চালিয়ে জমিতে ত্রিপল বিছিয়ে মাটির বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম অস্থায়ী জলাশয় তৈরি করতে হবে। তাতেও প্রচুর টাকা দরকার। করিমপুরের পাট চাষি নৃপেন মণ্ডল বলেন, এখন মাঠে পাটের পাশাপাশি লঙ্কা, বেগুন, পটল, ঝিঙে, শসার মতো নানা রকমের সব্জি রয়েছে। এখন বৃষ্টি হলে ফসলের সঙ্গে চাষিরাও বাঁচবেন। পটল চাষি দীপক সরকার বলেন, গত এক মাসে কয়েকবার বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। রাজ্যের কোথাও কোথাও হলেও এখানে বৃষ্টি হয়নি। এখন বৃষ্টি হলে মাঠের সব ফসলের উপকার হবে।
করিমপুর উদ্যান ও কৃষি কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ বিশ্বাস জানান, কৃষি নির্ভর এলাকায় ব্যাপকভাবে পাট, পান, কলা ও সব্জি চাষ হয়। জেলার প্রায় ত্রিশ শতাংশ জমিতে পাট চাষ হয়। পাট চাষে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হলে পাটের উৎপাদন ও পাটের মান ভালো হয় না। এবারে পাটের মরশুমে বৃষ্টির ঘাটতির কারণে পাট চাষে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এবছর বৃষ্টির অভাবে ফসলের ক্ষতি যেমন হবে, তেমনি উৎপাদন ব্যাহত হবে। যত তাড়াতাড়ি বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে, ততই ভালো। নাহলে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।