গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর প্রতিটি বুথ ধরে পর্যালোচনা করা হবে। কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় দল পিছিয়ে গেলে ওই এলাকার প্রধান বা দলের সভাপতিকে জবাব দিতে হবে। ব্লকের ফলাফল খারাপ হলে বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। আগামী দিনে তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও অন্ধকারে নেমে আসতে পারে। ভোটের আগে দলীয় বৈঠক করতে এসে তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পুরস্কার’ এবং ‘তিরস্কার’ নীতির কথা ঘোষণা করে গিয়েছেন। এলাকায় ফল ভালো হলে সেই নেতাকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে ফল খারাপ হলে সেই এলাকার নেতাদের ব্যাকবেঞ্চে যেতে হবে। দলের এক নেতা বলেন, অনেক নেতারই চালচলন অন্যরকম। অথচ ভোটের সময় দেখা যায় নিজের বুথেই তাঁরা দলকে লিড দিতে পারছেন না। এলাকার লোকজন তাঁকে পছন্দই করেন না। অথচ সেই নেতাই বছরের পর বছর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। তাঁদের জন্যই এলাকায় ফল খারাপ হয়। তারপরও সংগঠনে তাঁদের গুরুত্ব কমে না। এবার সেসব আর হবে না। এলাকায় যাঁদের গুরুত্ব রয়েছে তাঁরাই সংগঠনের দায়িত্বে থাকবেন। স্থানীয় বাসিন্দারা না পছন্দ করলে আর ক্ষমতা থাকবে না।
ভোটের ফল বেরনোর পরই দলকে সাহায্যকারী সংস্থা প্রতিটি বুথের ফলাফল পর্যালোচনা করতে শুরু করবে। তাদের সেই রিপোর্ট রাজ্যে জমা পড়বে। তারপরই কাটছাঁট শুরু হবে। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় বেশ কয়েকটি এলাকায় ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসে। ওইসমস্ত এলাকার নেতাদের ভোটে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেটা তাঁরা মেনে চলেছেন কিনা তাও পর্যালোচনা করা হবে। ভোটে কোন নেতার কী ভূমিকা ছিল সেটাও দলকে সাহায্যকারী ওই সংস্থার কর্মীরা খতিয়ে দেখছেন। কেউ দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তা সকলকে মেনে চলতে হবে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বর্ধমান জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্র তাদের দখলে থাকবে। তারপরও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।