বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, এই অ্যাপ ব্যবহার করে নম্বর রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোটের দিনের কাজকর্ম মনিটারিংয়ের কাজ হবে। এটারই ড্রাই রান করার ব্যাপারে কমিশন থেকে নির্দেশিকা এসেছে। আমরা সেই মতো সকলকে এই কাজ করতে বলে দিয়েছি।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অ্যাপের সঙ্গে সকলের পরিচিতি ঘটাতে ও অ্যাপ ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখতেই এই ড্রাই রান চালাতে হবে। কীভাবে এই কাজ হবে? নির্বাচনী দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এসএমএস পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট নম্বর রয়েছে। সেখানে প্রথমে বড় হাতের ‘ডব্লুবিইএল’ লিখে বিধানসভা কেন্দ্রের নম্বরের প্রথম তিনটি ডিজিট, তারপর এরপর বড় হাতের ‘পি’ লিখে পোলিং স্টেশনের শেষ তিনটি ডিজিট দিয়ে এসএমএস করতে হবে। এই কাজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ করতে বলা হয়েছিল। এই কাজ ঠিকমতো করার পরেই প্রিসাইডিং অফিসারকে একটি লিঙ্ক এসএমএস করা হবে। সেখান থেকে তিনি অ্যাপ্লিকেশনটা ডাউনলোড করে নেবেন। এরপর শুক্রবার এই অ্যাপের মাধ্যমেই ডামি ভোটের হার, কতগুলি ভোট পড়ল, ১১টা, ১টা এবং ৩টের সময় তিন দফায় জানাতে হবে। এই সংক্রান্ত ওটিপি বা ওয়ান টাইপ পাসওয়ার্ড কারও সঙ্গে শেয়ার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই কাজ শেষের পর শনিবারের মধ্যে জেলাশাসকদের এবিষয়ে ফিডব্যাক দিতে হবে।
ওই কর্তা বলেন, এটা প্রত্যেকবারই হয়। ভোটের দিন ক’টার সময় কত ভোট পড়ল, তা এসএমএসের মাধ্যমেই মনিটরিং হবে। কাজটা এসএমএসের মাধ্যমেই হবে, অ্যাপের মাধ্যমে নম্বরগুলি মূলত রেজিস্ট্রেশন হবে। এটা এক ধরনের মক টেস্ট। আমরা ৫০শতাংশের বেশি বুথে যাতে এটা করা যায়, তার চেষ্টা করছি।
নির্দেশিকা পাওয়ার পর এদিন বিভিন্ন জেলার ব্লক কতৃপক্ষ এই কাজ শুরু করেছে। শালবনীর বিডিও সঞ্জয় মালাকার বলেন, আমরা নির্দেশিকা পেয়েছি। এদিন দুপুরেই নম্বর রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ বলেন, নির্দেশমতো ওই কাজ আমরাও শুরু করে দিয়েছি। মহড়া হয়ে একদিকে ভালোই হচ্ছে।
নির্বাচনের সময় সাধারণত ভোটগ্রহণের একদিন আগে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার থেকে জিনিসপত্র নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার রওনা দেন। যাওয়ার সময় তাঁর অথবা অন্য যেকোনও পোলিং পার্সোন্যালের মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। ভোটের দিন ভোটদানের হার, বুথের অবস্থা, ভোট জ্যাম হল কি না, এই সমস্ত কিছু সাংকেতিক ভাষায় এসএমএসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নম্বরে পাঠাতে হয়। সেই কাজ আরও ভালোভাবেই করতেই এবার অ্যাপে মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশন করাতে হচ্ছে। ওই অ্যাপ দেখেই কেন্দ্রিয়ভাবে কমিশনের কর্তারা ভোট-পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাবেন।