মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
খড়িবাড়ির গৌড়সিংজোতে বাঙরুর বাড়ি। পাঁচ মাস আগে মাদক কারবারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বাঙরুর নাম জানতে পারে এনসিবি। তারা সেই সময় থেকে একাধিকবার বাড়িতে হানা দিয়েও অভিযুক্তের নাগাল পায়নি। সে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। অবশেষে বুধবার রাতে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে ধরেছে এনসিবি। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পুলিস ও গোয়েন্দাদের নজর এড়াতেই সে টোটো চালকের বেশে ঘন ঘন ডেরা বদল করছিল। শুধু তাই নয়, সে টোটো চালকের বেশে হেরোইনের কনসাইনমেন্ট এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় স্থানান্তরিত করত বলেই মনে হচ্ছে।
এনসিবির আইনজীবী রতন বণিক বলেন, গত ১০ আগস্ট ৪১৭ গ্রাম হেরোইন সমেত গ্রেপ্তার করা হয় জিতু বর্মনকে। সে পেশায় টোটো চালক ছিল। ধৃতকে জেরা করেই বাঙরুর নাম পান এনসিবি’র অফিসাররা। সেই সময়ই এনসিবি’র তরফে অভিযুক্তের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। তাতে অভিযুক্ত সাড়া দেয়নি। এরপর একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়েও গোয়েন্দারা নাগাল পায়নি। অবশেষে স্থানীয় পুলিসের সহযোগিতায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে ধৃতকে একদিনের জন্য এনসিবি’র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনসিবি’র আইনজীবী বলেন, ধৃত সম্ভবত হেরোইন পাচারের মাস্টারমাইন্ড। এর সঙ্গে নেপালে ঘাঁটি গেড়ে থাকা আন্তর্জাতিক মাদক সিন্ডিকেটের সংস্রব রয়েছে বলেই সন্দেহ।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়িতে মাদক কারবারের রমরমা দীর্ঘদিনের। এর মোকাবিলায় এখানে শক্তি বৃদ্ধি করেছে এনসিবি। ইতিমধ্যে তারা কলেজপাড়ায় জোনাল অফিস চালু করেছে। এনসিবি’র আইনজীবী বলেন, শুধু শিলিগুড়ি নয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিট মাদক কারবারের বিরুদ্ধে গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে।