মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
কিন্তু সব আশঙ্কা নস্যাৎ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি পরিষেবা প্রদানের সভায় লাখো মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এতটাই যে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাঁকিয়ে পড়া ঠান্ডার কামড় সহ্য করেও মানুষ কেউ ঠাঁয় বসে কেউ দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনেছে। এদিন সকাল ৯টা থেকেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। শেষ পর্যন্ত মাঠে জায়গা না হওয়ায় সভাস্থলের পাশে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনে।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল এদিন সভায় চা বাগান ও বনবস্তির মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন সরকারি ট্যাবলোর সঙ্গে চা শ্রমিক বনবস্তিবাসীদের আনা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর ব্যানার ফেস্টুনে রঙিন হয়ে ওঠে লাখো মানুষের জমায়েতের সভাস্থল।
সভার এই মুড আপ্লুত করে মুখ্যমন্ত্রীকেও। চা শ্রমিক ও বনবস্তবাসীদের এই উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা দেখে তিনিও চুপ থাকতে পারেননি। তাই মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই মঞ্চে না উঠে সভার ভিড়ে মিশে যান। তিনি ভিড়ে মিশে যাওয়ায় সভাস্থলে আসা মানুষও উদ্বেল হয়ে উঠে। হাতের কাছে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য তখন হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মী, পুলিস ও জেলা প্রশাসনের।
বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক সময় সভাস্থলের বাঁশের ব্যারিকেডে উঠে পড়েন। যাতে সভায় থাকা সকলের পক্ষে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে সুবিধা হয়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চে তিনি যখন আদিবাসী মহিলা শিল্পীদের সঙ্গে মাদলের তালে নাচে পা মেলান তখন সভায় আসা চা শ্রমিকরা একেবারে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেন জেলার পাঁচটি বন্ধ বাগান খুলেছে। আরও খুলবে খুব শীঘ্রই। মুখ্যমন্ত্রীর একথা শুনে শ্রমিকরা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। এদিন সভায় আসা সদ্য খুলে যাওয়া কালচিনির রায়মাটাং, কালচিনি, তোর্সা ও মেচপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানায়। সভা শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিনই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি এর আগে ২০২৩ সালে এই মাঠেই সরকারি অনুষ্ঠান ও গত বছর লোকসভা ভোটের প্রচার করে যান। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মতো ভিড় আগে হয়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছাব্বিশের ভোটের আগে এই ছবি মমতাকে নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি দেবে। এই ভিড় দেখে দিনের শেষে জেলা তৃণমূলের নেতাদের মুখেও ছিল চওড়া হাসি।