মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবার জলপাইগুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর হ্যাপি স্ট্রিটের ভাবনা তিস্তাপাড়ের শহরে এই প্রথম। ফলে শহরবাসীর মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা বাঁধ ভাঙে। সময় যত গড়িয়েছে, হ্যাপি স্ট্রিটে বেড়েছে ভিড়। কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। যা দেখে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা দারুণ খুশি।
জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড় থেকে জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তা আলপনায় সাজানো হয়। ছিল শীতের বাহারি ফুলের গাছ। সন্ধ্যা হতেই জ্বলে ওঠে রঙিন আলো। কী ছিল না হ্যাপি স্ট্রিটে? ছোটরা যেমন হারিয়ে গিয়েছে তাদের খেলার আসরে। মহিলারা ভিড় জমান জুম্বায়। উপভোগ করেন শালুগাড়া থেকে সোনম লুন্ডুপ লামার নেতৃত্বে লায়ন ডান্স। কলকাতার গিরিশপার্ক থেকে পুতুলনাচ নিয়ে এসেছিলেন সুশান্ত মুখোপাধ্যায়। শহরের চিত্রশিল্পীদের কেউ ছবি এঁকেছেন। কেউ আবার রঙিন কাগজের টুকরো জুড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন ক্যানভাস। হ্যাপি স্ট্রিটে ‘কুমোরপাড়া’য় মাটির জিনিসপত্র তৈরি দেখতে ভিড় জমে। রাস্তার উপরেই তৈরি করা হয়েছিল একাধিক মঞ্চ। সেখানে জমে ওঠে নাচ-গানের আসর। কেউ কেউ যোগ-ব্যায়াম প্রদর্শন করেন। ছিল নানা ধরনের খেলা। জিতলে পারলেই আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
বিদেশি সারমেয়দের সঙ্গে টক্কর দিয়ে সবুজ গালিচা বিছানো হ্যাপি স্ট্রিটের র্যাম্পে হাঁটে দেশি চারপেয়েরা। পাশে দাঁড়িয়ে সমানে উৎসাহ জুগিয়েছেন ছানাদের ‘অভিভাবক’রা। পথকুকুরদের ‘দত্তক’ নেওয়ার ব্যাপারেও প্রচার চালানো হয় ওই ডগ শো থেকে। তারিয়ে তারিয়ে প্রতিটি ইভেন্ট উপভোগের সঙ্গেই ভিড় উপচে পড়ে খাবারের স্টলগুলিতে। ডুয়ার্স চায়ের দেড়শো বছর উপলক্ষ্যে স্টল দেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা।
জেলাশাসক বলেন, হ্যাপি স্ট্রিটে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। গোটা শহরের মানুষ এখানে এসেছেন। আনন্দ করেছেন। আমরা হ্যাপি স্ট্রিটে জেলার বিভিন্ন সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মানুষের যেভাবে সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত।
আজ, শুক্রবার জলপাইগুড়ি পুরসভার সামনে রেখে ‘হেরিটেজ ওয়াক’ রয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের হেরিটেজ স্থাপত্যগুলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই এর মূল লক্ষ্য। কাল, শনিবার রয়েছে ‘জলপাইগুড়ি রান’।