মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বরুণ মণ্ডল (২৬) ও মিঠু শেখ (৪০)। তারা কালিয়াচক থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের বাংলাদেশ সীমান্তে এখন অতিসক্রিয় পাচার চক্র। তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও যুক্ত। সীমান্তের ওপারে কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা করছিল দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মহদিপুর সেতুর কাছে অভিযান চালায় কালিয়াচক থানার অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিস।
পুলিসের অভিযান টের পাওয়া মাত্রই সজাগ হয়ে ওঠে পাচারকারীরা। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পুলিস পৌঁছতেই তাদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ভোরবেলা ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। তারমধ্যেও পুলিসের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় পাচারকারীরা। তাঁদের দিকে গুলি ছোড়া হলেও বিপদ মাথায় নিয়ে পুলিস পাচারকারীদের দিকে এগোতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালাতে শুরু করে যুবকরা।
পুলিস ও প্রশাসনের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে সেই সময় মোট ১১ জন পাচারকারী উপস্থিত ছিল। পুলিস ধাওয়া করে দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কালিয়াচক থানা। ঘটনাস্থল থেকে এদিন গুলির খোল উদ্ধার করে পুলিস। ধৃত বরুণ এবং মিঠুকে জেরা করে ওই দলের বাকি দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিস। জেরায় বরুণ স্বীকার করেছে সেই পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। ধৃতদের এদিন মালদহ আদালতে পেশ করে তিনদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিস।
প্রতি বছরই শীতের সময় প্রচন্ড ঠান্ডা এবং কুয়াশার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে পাচারকারীরা। বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার রুখতে তাই প্রথম থেকেই এবার সতর্ক ছিল পুলিস। তৎপরতা বাড়ানো হয়েছিল মালদহের সীমান্তবর্তী কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, হবিবপুর, পুরাতন মালদহের মতো সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলিতে। রাতে টহলদারি বাড়িয়ে দেওয়ায় কমেছিল পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য। তবে, এদিন ঘন কুয়াশা থাকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া ছিল দুষ্কৃতীরা।