পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী গোয়ালপোখরের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম বাঁশপোখর। সেই গ্রামে বিশেষ প্রহরা রেখেছে পুলিস। কার্যত গ্রামটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে গ্যাংস্টারদের হদিশ পাওয়ার আশায়। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই এলাকাতেও লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সুযোগ পেলে এই এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁশপোখরের পার্শবর্তী এলাকা ঝারবাড়ি। সেখানেও পুলিস দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক আবদুল হুসেন (আবাল)। ছ’বছর আগে ঝারবাড়ির এক যুবতীকে বিয়ে করেছিল। এর বছরখানেক পরে একটি মাদক মামলায় নাম জড়ায় তার। এরপর থেকে শশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। স্ত্রী এখানেই ছিল। ঘটনার পর পুলিসের অনুমান, আব্দুল তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিংবা আব্দুলের সম্পর্কে কিছু তথ্য স্ত্রীর কাছে থাকতে পারে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, আব্দুলের স্ত্রীকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য পুলিস নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, সাজ্জাকের স্ত্রীকেও পুলিস আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে নজিরবিহীনভাবে পুলিসকে গুলি করে পালানোর মতো একটা ফিল্মি পরিকল্পনা কার্যকর হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তদন্তকারীরা। পুলিসের যুক্তি, বাংলাদেশের মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আব্দুল হোসেন বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপারে যথেষ্ট সিদ্ধহস্ত। কারণ মুর্শিদাবাদ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আব্দুলকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের সে এ দেশে অনুপ্রবেশ করে এবং জঙ্গি কায়দায় একজন বিচারাধীন বন্দিকে পালাতে সহায়তা করে। তাই সাজ্জাকের পাশাপাশি আব্দুলকে দ্রুত জালে তুলতে মরিয়া তদন্তকারীরা। পুলিসের অনুমান, একা আব্দুল নাকি তার সঙ্গে আরও কারও যোগসাজশ ছিল তাও, খতিয়ে দেখার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে অবাধ যাতায়াতের প্রশ্নে আব্দুলের গতিবিধি ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাই তো ইসলামপুর পুলিস জেলার বহু জনবহুল জায়গায় আব্দুল ও সাজ্জাকের পোস্টার সাঁটিয়েছে পুলিস। যদিও এব্যাপারে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি পুলিসের তরফে।
ইসলামপুর পুলিস জেলার সুপার জবি থমাসকে একাধিকবার ফোন করা হলেও এদিন তিনি ফোন ধরেননি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি অবশ্য আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, পাঞ্জিপাড়ার একদিকে বিহার ও অন্যদিকে বাংলাদেশ। তাই বিহার কিংবা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকতে পারে গ্যাংস্টারদের। পুলিসের তদন্তও সেই দিকেই এগচ্ছে।