পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কোয়েলি রায়বর্মন বলেন, এটা ঠিক যে, আমাদের একটা ডাইনিং হলের খুব দরকার। না হলে স্কুলের মাঠে বসে খেতে হয় মেয়েদের। বর্ষায় খোলা জায়গায় বসে খাওয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া স্কুলের মাঠে জল জমে থাকে। তখন ক্লাসরুম ফাঁকা করে মেয়েদের মিড ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। যদিও প্রশাসনের আশ্বাসে ডাইনিং হলের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী প্রধান শিক্ষিকা। বুধবার তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষাদপ্তর থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আমরা ডাইনিং হলের বিষয়টি নিয়ে আবেদন জানিয়ে রেখেছি। আগে একবার বিডিওকে বলেছিলাম। মঙ্গলবার তিনি আমাদের স্কুলে এসেছিলেন। তখন ফের তাঁকে বিষয়টি মনে করে দিয়েছি। তিনি কথা দিয়েছেন, শীঘ্রই ব্যবস্থা করবেন।
জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে ডাইনিং হলের বিষয়টি জানিয়েছে। সেটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, মিড ডে মিলের ঘণ্টা পরার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েরা গিয়ে খাবার নিয়ে এসে মাঠে বসে পড়ছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চারশোরও বেশি ছাত্রী প্রতিদিন মিড ডে মিল খায় ওই স্কুলে। পড়ুয়াদের যাতায়াত, সঙ্গে হাওয়া চলতে থাকায় মাঠে যথেষ্টই ধুলো উড়ছে। কিন্তু তারই মধ্যে বসে ফুলকপির তরকারি দিয়ে ভাত খাচ্ছিল করলাভ্যালি চা বাগানের বাসিন্দা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তুলসী ভূমিজ। বলল, আমাদের খাওয়ার জন্য একটা ঘর হলে ভালো হয়। শীতে মাঠে বসে খেতে ভালো লাগলেও গরমে কষ্ট হয়।
প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ডাইনিং হলের পাশাপাশি স্কুলে মেয়েদের শৌচালয় ও সাইকেল স্ট্যান্ড দরকার। সেগুলিও প্রস্তাব আকারে প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।