অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
সাফারি শেষে ডিএফও বলেন, খোলা জিপসিতে জঙ্গলে সাফারি করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। পর্যটকরা যাতে আরও বেশি বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পান, সেজন্য কার সাফারির রুট বাড়ানো হচ্ছে। লাটাগুড়ি থেকে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত যে কার সাফারির রুট রয়েছে, সেটি আরও চার কিমি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে মূর্তি থেকে চাপড়ামারি পর্যন্ত যে কার সাফারি হয়ে থাকে, তার রুটও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই একই ভাড়ায় বাড়তি রুটে সাফারির সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। একসময় গোরুমারায় ভালো সংখ্যায় বেড়াতে আসতেন বিদেশিরা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমেছে এখানে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে এদিন ডিএফও বলেন, ভিনরাজ্যের কিংবা বিদেশের পর্যটকদের ডুয়ার্সের জঙ্গলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দেওয়া হবে। ডিএফও আরও বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি বনবাংলো পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছি। সেখানে বিদ্যুতের পরিবর্তে সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এবার সাফারির রুট বাড়তে চলেছে। বর্তমানে যাত্রাপ্রসাদ ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত সাত কিমি পথে কার সাফারি হয়। সেটি বাড়িয়ে ১১ কিমি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে পর্যটকদের মেদলার দিক থেকে জঙ্গলপথ ঘুরিয়ে আনা হবে। এতে তাঁরা আরও বেশি হাতি, গন্ডার সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন। বনকর্তার সঙ্গে এদিন কার সাফারি করতে পারায় খুশি কলকাতা থেকে গোরুমারায় বেড়াতে আসা শিবম দাস, শ্রেয়া সাহার মতো পর্যটকরা। বলেন, খোলা জিপসিতে সাফারির অনন্য অভিজ্ঞতা তো হলই, সঙ্গে ডিএফও’র কাছ থেকে জঙ্গল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
পর্যটকদের অনেকে এদিন কয়েকজন গাইডের ব্যবহার নিয়ে কিছুটা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। বাইরে থেকে যাঁরা বেড়াতে আসছেন, তাঁদের সঙ্গে গাইডদের আরও একটু ভালো ব্যবহার করা উচিত বলে জানান পর্যটকরা। বিষয়টি নিয়ে ডিএফও বলেন, গাইডদের নিয়ে শীঘ্রই প্রশিক্ষণ শিবির হবে। সেখানে গাছ, পাখি চেনানোর পাশাপাশি পর্যটকদের সঙ্গে তাঁদের কেমন ব্যবহার করা উচিত, সেব্যাপারেও ট্রেনিং দেওয়া হবে। - নিজস্ব চিত্র।