মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
একসপ্তাহ আগে এনজেপি থানায় জমি দখল নিয়ে দেবাশিস, গৌতম সহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক মহিলা। পুলিস ওই অভিযোগ নিয়ে হুমকি, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস দেবাশিস সহ তিনজনক গ্রেপ্তার করে। সেসময় এলাকা ছেড়ে পালায় গৌতম। টানা একসপ্তাহ অভিযান চালিয়ে অবশেষে অভিযুক্তের নাগাল পেয়েছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযুক্তের গতিবিধি জানতে পারে এসওজি। তাদের একটি দল দিল্লিতে পাড়ি দেয়। এদিন দিল্লিতে গৌতমকে ধরা হয়। সেখান থেকে বিমানে ধৃতকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। পুলিস জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। আজ, শনিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।
ধৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি ডাবগ্রামে। এসজেডিএ’র সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, ডাবগ্রামে প্রভাশালী তৃণমূল নেতাদের মধ্যে অন্যতম। দেবাশিস মূলত একে নিয়েই গোটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ। দেবাশিসের মতো গৌতমের সঙ্গেও শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের বেশকিছু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে খবর। এদিন বিমানবন্দরে গৌতম বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। যিনি মামলা করেছেন, তিনিই বলতে পারবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনের উপর ভরসা আছে।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই দেবাশিস, গৌতম সহ সাতজনের বিরুদ্ধে এনজেপি থানায় অভিযোগ হয়। ওই মামলায় পুলিস এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি তিন অভিযুক্তের এখনও কোনও হদিশ নেই। নিজস্ব চিত্র