মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সেচদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিতে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালজালি নদীর জলস্তর শুক্রবার সকালে একলাফে অনেকটা বেড়ে যায়। দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশকুমার সিং বলেন, বাধ্য হয়ে টাউন প্রোটেক্টিভ বাঁধের স্লুইস গেটগুলি বন্ধ করে দিতে হয়। তবে এই সময়ে ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বিপদের আশঙ্কা নেই।
লাগাতার বৃষ্টিতে শুক্রবার সকালে শহরের ২০টি ওয়ার্ডের নিচু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এর জেরে সকালে বাজারঘাট করতে বের হতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। সর্বত্র পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় তাঁদের জলবন্দি হতে হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার টাউন প্রোটেক্টিভ বাঁধে ১৪টি স্লুইস গেট রয়েছে। কালজানি নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সেচদপ্তর বাধ্য হয়ে স্লুইস গেট বন্ধ করে দেয়। তাতে আরও বিপত্তি দেখা যায়। বাধ্য হয়ে পুরসভাকে জমা জল নদীতে ফেলতে ১, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ১৪টি পাম্প চালাতে হয়। শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ওয়ার্ডে জমে থাকা জল নামতে শুরু করে।
তবে দুপুর পর্যন্ত এসজেডিএ’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর বাড়ি উদয়নবিতান, বেলতলা, অরবিন্দনগর, পিলখানা সহ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক এলাকায় জল জমেছিল। তাতে ক্ষোভ তৈরি হয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। ফলে শহরের বাসিন্দারা পুরসভার বেহাল নিকাশির কারণে উদ্বিগ্ন। যদিও পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, জমা জল পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়েছে। ন’টি নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।