মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রশ্ন উঠেছে, পাহাড়ি খরস্রোতা সুখা নদীতে আগে বাঁধ তৈরি না করে কেন প্রকল্প শুরু করা হয়েছে? তাছাড়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বাগানের যেখানে এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে সেই জায়গাটিতে সারাবছর হাতির উপদ্রবও থাকে।
মুজনাই চা বাগানের ওই এলাকায় এই প্রতিকূলতার কথা জানা সত্বেও কেন এই প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকার মানুষের মধ্যে। যদিও এখন বিপদ বুঝে চা সুন্দরী প্রকল্পের ওই ঘরগুলি সুখা নদীর আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে প্রশাসন বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এলাকার এমপি বিজেপির মনোজ টিগ্গা বলেন, মুজনাই চা বাগানের জমিতে ওই প্রকল্প তৈরির আগে আমি নিজেই সুখা নদীর এই আগ্রাসনের বিপদ সম্পর্কে প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। ওই এলাকায় সারাবছর হাতির উপদ্রবের কথাও জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কথাকে কেউ পাত্তা দেয়নি। এমপি আরও বলেন, আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনকে সুবিধা করে দিতেই ওই এলাকায় জোর করে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘরগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, প্রকল্পটিকে বাঁচাতে আগে সুখা নদীতে প্রশাসন বাঁধ দিক।
অন্যদিকে, তৃণমূলের মাদারিহাট অঞ্চল সভাপতি সঙ্গীতা শর্মা বলেন, যেভাবে সুখা নদীর আগ্রাসন চলছে তাতে ভবিষ্যতে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘরগুলিকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই নদীতে বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। মাদারিহাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রশিদুল আলম বলেন, সীমিত আর্থিক ক্ষমতার কারণে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে সুখা নদীতে বাঁধ দেওয়া সম্ভব নয়।
যদিও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলাকে ফোন করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জানান, সুখা নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য রাজ্যের আবাসন দপ্তর থেকে ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সেচদপ্তর কাজটি করবে। নিজস্ব চিত্র