আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
এদিকে, কবে জেলায় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ চালু হবে তা নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তর কার্যত চুপ। দপ্তরের দাবি, রাজ্যের নির্দেশমতো প্রথম ডোজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে অনেকে হাসপাতালে গেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। দ্রুত জেলাজুড়ে করোনার প্রথম ডোজ চালুর দাবি উঠেছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, দ্রুত ভ্যাকসিন চালু না হলে আগামীতে জেলায় করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, রাজ্যের নির্দেশ মতো করোনার প্রথম ডোজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দেশ এলে আমরা চালু করে দেব। ১০ হাজার ভ্যাকসিন এসেছে। এগুলির মধ্যে প্রথম ডোজ শুধুমাত্র পরিবহণ কর্মী, হকার ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দেওয়া হবে। কবে ভ্যাকসিন আসবে, এনিয়ে কিছু বলতে পারব না। সংক্রমণ কমাতে আমরা একাধিক পরিকল্পনা শুরু করেছি। এনিয়ে বুধবার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
জেলায় গত ২৮ এপ্রিল থেকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ বন্ধ। স্বাস্থ্যদপ্তরের এই উদাসীনতার কারণে জেলার বাসিন্দারা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন। ভ্যাকসিন পেতে অনেকেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। অনেককে ভ্যাকসিনের দিন, সময় ও কেন্দ্র জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নিতে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে চরম হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অন্যদিকে, জেলায় যে ১০ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে, তার একাংশ পরিবহণ, হকার ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। এনিয়েও বিপাকে পড়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সেভাবে হকার নেই জেলায়। থাকলেও তাঁদের পরিচয়পত্র নেই। এই অবস্থায় তাঁদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বুধবার এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বৈঠক করেন। পরিবহণ কর্মীদের তালিকা আরটিও’র কাছে চাওয়া হয়েছে। জেলায় ভ্যাকসিন বন্ধ থাকার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।