আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অতিমারীতে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। করোনায় মৃতদের দেহ সৎকারের ব্যাপারে রাজ্য সরকারগুলি উদাসীন বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল থেকে দেহ গঙ্গার তীরে নিয়ে গিয়ে কোথাও ডাঁই করে রাখা হচ্ছে। কোথাও আবার সামান্য অগ্নিসংযোগ করে দেহ গঙ্গার জলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দগ্ধ বা স্তুপাকার দেহ গঙ্গার জলে ভেসে নিম্ন অববাহিকার দিকে চলে যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড হয়ে গঙ্গা এরাজ্যে প্রবেশ করছে। মালদহ জেলায় ঢোকার পর বেশ কিছুটা প্রবাহিত হওয়ার পর ফারাক্কার গেটে গঙ্গা ধাক্কা খাচ্ছে। সেখান থেকে ভাগীরথীর ফিডার ক্যানেল গঙ্গা থেকে পৃথক হচ্ছে। ফারাক্কা থেকে নিম্ন অববাহিকায় কিছুদূর যাওয়ার পর পদ্মা নাম নিয়ে বিশালাকার ওই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তার আগে অবশ্য মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের কাছে ভাগীরথী ভাগ হয়ে যাচ্ছে। ফলে করোনায় মৃতদের দেহ মালদহের পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তের ব্লক এলাকায় তুলতে না পারলে গোটা ফারাক্কা ব্যারাজের জল দূষিত হবে। তার প্রভাব ফিডার ক্যানালেও পড়বে। ফলে ভাগীরথী বা হুগলী নদীর জলেও দূষণ মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পরিবেশবিদদের একাংশ আশঙ্কা করছেন। এই পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা প্রশাসনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থসারথী রায় বলেন, অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষায় যেকোনও প্রাণীদেহে দ্রুত পচন ধরে। মানবদেহও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। দেহে পুরো মাত্রায় পচন ধরার আগেই জল থেকে তুলে ফেলতে হবে। তা না হলে দূষণ বাড়বে। পচা দেহ জল থেকে তুলতেও সমস্যা হবে। জলদূষণ রোধে দেহ দ্রুত গঙ্গা থেকে তুলে নেওয়া এবং সঠিক নিয়ম মেনে সেগুলির অন্ত্যেষ্টি করা উচিত।