আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের লকডাউনের সময় থেকেই পুরসভার বিভিন্ন আয়ের উৎস কমে যায়। সেই আয় এখনও আগের মাত্রায় পৌঁছয়নি। ফলে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। এদিকে পুরসভা এলাকায় নাগরিক পরিষেবার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলা করাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলির দিকেও নজর দিতে হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই বর্ষা আসছে, তাই পুরসভা এলাকার মধ্যে থাকা হাইড্রেন সাফাইয়ের দিকে নজর দেওয়া হবে।
নয়া প্রশাসক বলেন, সোমবার আমি কোচবিহার পুরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। পুরসভার ফান্ডের অবস্থা কীরকম রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখছি। আয়ের উৎস কী কী রয়েছে, কী কী খাতে কত খরচ হচ্ছে সেসব ধাপে ধাপে দেখব। কোভিড পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার পাশাপাশি শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন, মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। শহরের হাইড্রেনগুলি শীঘ্রই পরিষ্কার করা হবে।
এর আগে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং। পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণের পর ভূষণবাবুকেই পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর লকডাউন হলে সেই সময় কোচবিহার পুরসভার কর আদায় কমে যাওয়ায় আয় কমে গিয়েছিল। এছাড়াও বেশকিছু সমস্যা সামনে আসে। এদিকে বিধানসভা নির্বাচন সামনে চলে আসে। নির্বাচনের দিন কয়েক আগে ভূষণবাবু বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরলে রাজ্যে ফের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপরেই ভূষণবাবুর জায়গায় মহকুমা শাসককে প্রশাসকের দায়িত্বভার দেওয়া হয়।
কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে কোচবিহার পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব সামলানো বর্তমানে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিনই করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তা নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও শহরের বাজারগুলিতে এখনও পুরোপুরি ভিড় এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। এসব বিষয় দেখার পাশাপাশি শহরের নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল, রাস্তা সংস্কারের মতো সাধারণ দাবিগুলিও রয়েছে। এই সব দিক সামাল দেওয়া ও সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই এখন নতুন প্রশাসকের কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।