অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ফতেপুরে ছাত্রলিগের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় একটি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রলিগ নেতা ও কর্মী মাসুদ রানা ও রায়হানের। যদিও রাজনৈতিক কারণে ওই দু’জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি পুলিস। ছাত্রলিগকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মহম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। হাসিনার দলের ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, ‘ইউনুসের মদতেই বিএনপি-জামাত মিলিতভাবে হামলা চালাচ্ছে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর।’ হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ইতিমধ্যেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। গাজিপুরের টঙ্গিতে দু’টি ধর্মীয় সংগঠনের সমর্থকদের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তার উপর আবার জোড়া খুন ইউনুসের আমলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।
শুধু খুনোখুনি নয়, বাংলাদেশে কুখ্যাত জঙ্গিদের শাস্তি কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল অসমের জঙ্গি সংগঠন উলফার কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার নাম। ২০০৪ সালে অসমে উলফার কাছে পাচারের আগে চট্টগ্রামে দশটি ট্রাক ভর্তি বিপুল অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়। হাসিনার আমলের সেই মামলায় ফাঁসির সাজা হয়েছিল পরেশের। বুধবার তা খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট। পরেশ বর্তমানে চীনে আত্মগোপন করে আছেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। ওই একই মামলায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেই আদেশও খারিজ করে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে হাইকোর্ট। এর আগে শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলার মামলাতেও বেকসুর খালাস হয়েছিলেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে শান্তি ও বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছেন ভারতের সাড়ে ছ’শো জনেরও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি সহ একাধিক প্রাক্তন বিচারপতি, আমলা ও রাষ্ট্রদূত। অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।