অর্থকর্মের ক্ষেত্রে প্রগতি বজায় থাকবে। মরশুমি দ্রব্যের ব্যবসায় লাভ বাড়বে। শরীর-স্বাস্থ্য এক প্রকার থাকবে। ... বিশদ
তবে এতেও বেশ কিছু শর্ত যোগ করেছেন ইউনুস। জানিয়েছেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষদিকে নির্বাচন হতে পারে। আর যদি এর সঙ্গে ভোটপ্রক্রিয়া, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমূল সংস্কার করা হয়, তাহলে আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগবে। সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট, অন্তত আরও এক বছর বাংলাদেশে কোনও নির্বাচিত সরকার থাকবে না। ক্ষমতায় থাকছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস ও তাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকারই।
এই ঘোষণা হওয়ামাত্র বাংলাদেশের অন্দরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতার একটি ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে চাইছেন ইউনুস? তাঁর ঘোষণায় ক্ষোভ গোপন করেনি বিএনপি। খালেদা জিয়ার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা যা-ই বলুন, এদেশে নির্বাচন কবে হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। যত দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে, ততই স্বস্তি বাড়বে দেশের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আক্রমণ করেছেন ইউনুস সরকারকে। দিল্লিতে বসে সমাজমাধ্যমে এক বিবৃতিতে হাসিনা দাবি করেছেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশবিরোধী গোষ্ঠী অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। ফ্যাসিস্ট ইউনুসের নেতৃত্বে এই গোষ্ঠীর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতা দখল করে সব জনকল্যাণমুখী কাজে বাধা দিচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একশো দিন পূর্তি উপলক্ষ্যেও ভাষণ দিয়েছিলেন ইউনুস। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশে নির্বাচনী ট্রেনযাত্রা শুরু হয়েছে। আর এই যাত্রা আর থামবে না। যদিও নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি। এছাড়া অন্য উপদেষ্টাদের পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে। দ্রুত নির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য আগেই সরব হয়েছে বিএনপি। রবিবারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, আগামী দিনের পরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তি ফুটে ওঠে, তাহলে তা গণআকাঙ্খা-বিরোধী। আর তারপরেই এদিন ইউনুসের নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোষণা।